ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। দূতাবাস আয়োজিত ২২ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষ উদযাপন এবং একই সঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরে বাংলা নববর্ষ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোকপাত করা হয়। এতে বিশেষজ্ঞ আলোচক, বিদেশি বন্ধু ও কমিউনিটি নেতাদের আলোচনা এবং দূতাবাসের সদস্য ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে বাংলা নববর্ষকে বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনার উৎস এবং একান্তই আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শাশ্বত বাহক হিসেবে অনন্য এক উদ্যাপন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির নিজস্ব পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম দিনটি নববর্ষ হিসেবে দেশের সাথে সাথে বিদেশেও বর্ণাঢ্যভাবে উদ্যাপিত হয়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলা নববর্ষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের ঘোষণা প্রদান করেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে বাংলা নববর্ষের ওতপ্রোত ভূমিকা উপলব্ধি করে বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রবর্তন করেছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে সংস্কৃতির বহমানতাকে দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দেন পাশাপাশি ইতালি ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে উভয় দেশের মাঝে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে বলে মতপ্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানটি পরিবেশিত হয়। ইতালি সরকার কর্তৃক আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধুমাত্র দূতাবাসের সদস্যদের উপস্থিতিতে সীমিত পরিসরে দূতাবাসে এবং অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
