২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

উৎপাদন বাড়লেও লোকসানের শঙ্কায় পেঁয়াজ চাষীরা

Advertisement

দেশে মোট চাহিদার ৩০ শতাংশের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মানিকগঞ্জে। প্রতিবারের মতো এবারও উৎপাদন হয়েছে বেশ। তবে বাজারমূল্য নিম্নমুখী হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় আছেন জেলার চাষীরা। লোকসান এড়াতে উৎপাদকদের আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরামর্শ কৃষি বিভাগের। 

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সরফদিনগর গ্রামের চাষী সুরুজ মিয়া। এবার ৩৩ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। উৎপাদন ভালো হলেও শঙ্কায় আছেন লোকসানের।

সুরুজ মিয়া বলেন, আমাদের ৩৩-৩৫ হাজার টাকা খরচ। আমাদের বিক্রি হয়েছে ২৫-২৬ হাজার টাকায়। এভাবে চললে আমরা কৃষি খামার করতে পারব না, পেঁয়াজও লাগাতে পারব না। আমাদের পেঁয়াজের থেকে আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে।

একই ধরনের শঙ্কায় জেলার অন্যান্য পেঁয়াজ চাষীরাও। এর দায় চাপালেন আমদানিকারকদের ওপর। দেশি উৎপাদকদের সুরক্ষায় উৎপাদন মৌসুমে আমদানি বন্ধের দাবি জানালেন তারা।

স্থানীয় একজন পেঁয়াজ চাষী বলেন, লেবারের দাম বেশি, কীটনাশকের দাম বেশি, চাউল, ডাউল, তেল, লবণের দাম বেশি। আমাদের তো কোনো টাকা পয়সাই থাকতেছে না। আমরা কিভাবে সংসার চালাব। আরেকজন বলেন, এটা লস হচ্ছে ভারতের পেঁয়াজ আসার কারণে। ভারতের পেঁয়াজটা আসা বন্ধ হলে আমরা লাভ করতে পারব। 

নিম্নমুখী বাজারের জন্য আমদানিকারকদের দায়ী করলেন জেলার কৃষি কর্মকর্তাও। তবে এর প্রতিকারের পরিবর্তে উৎপাদক পর্যায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরামর্শ দিলেন তিনি।

মানিকগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে বা স্থানীয়ভাবে যেটা সেটাকে আরও উন্নত করে সংরক্ষণ পদ্ধতিতে জোর দিচ্ছি। তাতে করে যে সময়টায় পেঁয়াজের মূল্য কম থাকে সে সময়টা যদি আমরা ওভারকাম করতে পারি তাহলে কৃষকরা তার উৎপাদিত পণ্য ন্যায্যমূল্যে পাবে বলে আমরা আশা করছি। 

এবার মানিকগঞ্জের ৬ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে পেঁয়াজ। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement