২৪ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

কমলাপুরে ট্রেনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : গ্রেপ্তার ৫ জনকে কারাগারে পাঠালো আদালত

Advertisement

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা তুরাগ ট্রেনের বগিতে নিয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদের মধ্যে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সুমন (২১) ও নাইম (২৫)। ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অন্যদিকে নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০) ও রোমান প্রকাশ কালুকে (২২) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

(৯ অক্টোবর) রোববার ঢাকা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার পাঁচ জনকে আদালতে হাজির করে রেলওয়ে পুলিশ। এরপর সুমন ও নাঈম স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নাজমুল, আনোয়ার ও রোমান প্রকাশ কালুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের বাড়ি নেত্রকোণায়। (৭ অক্টোবর) শুক্রবার তার মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তিনি ওইদিন বিকেলে ৩টার দিকে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। রাত ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। ট্রেন থেকে নেমে ভিকটিম স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে এসে বসেন। এর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ইমরান নামের এক যুবক এসে তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। একপর্যায়ে যুবক ভিকটিমকে বলেন, এখানে বসে থেকো না, তোমার সর্বনাশ হতে পারে। তারপর ওই যুবক ভিকটিমকে ১ নম্বর প্লাটফর্মের ২১ নম্বর পিলারের সামনে বসিয়ে বলেন ‘কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে, সে যেন বলে, ইমরান ভাই বসিয়ে রেখেছে।’

এর কিছুক্ষণ পর ইমরান আবারও ভিকটিমকে বলেন, তোমার সর্বনাশ করার জন্য কয়েকজন ছেলে স্টেশনে ঘোরাফেরা করছে। পরে ভিকটিমকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার কথা বলে ১ নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা তুরাগ ট্রেনের ৭৪৪ নম্বর বগিতে নিয়ে যায় ইমরান। সেখানে গিয়ে ইমরান বগির দরজার বন্ধ করে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ৪-৫ জন যুবক ট্রেনের জানালা দিয়ে বগির ভেতরে ঢুকে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তাকে গণধর্ষণ করে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement