মিষ্টি আবার কার অপছন্দ? সকলেই পছন্দ করেন মিষ্টি। তাছাড়া ঘরোয়া আয়োজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে মিষ্টি ছাড়া যেন চলেই না। তার মধ্যে রসগোল্লা, চমচম থেকে শুরু করে বাহারি মিষ্টি খেয়ে থাকেন সবাই। কখনো কি কমলা ভোগ মিষ্টি খেয়েছেন? এ মিষ্টি দেখতেও যেমন সুন্দর, খেতে আরও সুস্বাদু।
জেনে নেওয়া যাক কমলা ভোগ মিষ্টি তৈরি পদ্ধতি-
২ লিটার তরল দুধ
সাড়ে ৪ কাপ পানি
৩ টেবিল চামচ সিরকা
১ চা চামচ ময়দা
সামান্য পরিমাণে হলুদ ফুড কালার।
২ কাপ চিনি
তৈরির পদ্ধতি-
প্রথমে একটি পা্ত্রে দুধ চুলায় দিয়ে জ্বাল দিন। এবার আধা কাপ পানির সঙ্গে সিরকা মিশিয়ে নিতে হবে। যখন দুধ গরম হবে তখন সাথে সাথেই চুলা বন্ধ করে দিন। তারপর পানি ও সিরকার মিশ্রণ ধীরে ধীরে ঢালতে হবে। তবে একবারে ঢালা যাবে না। সবটুকু ঢালতেই দুধ ফেটে ছানা হয়ে যাবে। পানি হলুদ কালার হয়ে যাবে। তখন সাথে সাথে চুলা থেকে নামিয়ে পাতলা কাপড়ের উপর ঢেলে ছেঁকে নিন। তারপর ছানার উপরে ঠান্ডা পানি ঢেলে নিন। এক ঘণ্টার মতো জায়গায় বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন ছানা। তাহলে ভালোভাবে পানি ঝড়ে পড়বে।
এবার বড় প্লেটে ছানার সঙ্গে ময়দা ও ফুড কালার হাত দিয়ে মিশিয়ে নিন। হাতের তালু দিয়ে ঘষে ঘষে ছানাটা মথে নিন। বেশ কিছুক্ষণ পর যখন ছানা নরম হয়ে যাবে তখন বুঝতে হবে মিষ্টি তৈরির ছানা তৈরি হয়ে গেছে। এখন ছোট ছোট করে মিষ্টির সাইজে তৈরি করুন ছানা দিয়ে। সবগুলো মিষ্টি একইভাবে তৈরি করে নিন। তারপর চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে পানি ও চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
সিরা ঘন করার দরকার নেই। চিনি গলে ফুটে উঠলেই তাতে বানানো মিষ্টিগুলো দিয়ে দিতে হবে। এরপর ঢেকে রাখুন ৫ মিনিটের জন্য। চামচ দিয়ে খুব সাবধানে মিষ্টিগুলো নেড়ে আবারও ঢেকে দিন ১০-১৫মিনিটের জন্য।
চুলা বন্ধ করার পরও মিষ্টিগুলো ঢেকে রাখতে হবে ২-৩ ঘণ্টার জন্য। পুরোপুরি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত সেভাবেই রাখুন।
বাহ! তৈরি হয়ে গেল কমলা ভোগ মিষ্টি। এবার পরিবেশন করুন।