২৪ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

কানাডায় বাংলাদেশ সেন্টারে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

Advertisement

উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে কানাডার ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত এ উৎসব চলে। 

তুষারাবৃত কানাডার কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ-উৎসবে মেতে ছিলেন অন্যরকম এক মিলনমেলায়। 

প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় আবাহনে বাংলার পথে-প্রান্তরে এখন পিঠা উৎসবের আমেজ। নতুন ধানে ঘরে ঘরে পিঠা-পুলির উৎসব। আর এই উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রবাসী বাঙালিরাও মেতে উঠেছিল শীতকালীন পিঠা উৎসবে। বাঙালি জীবনে সংস্কৃতির এই উৎসব যেন এক মহামিলন।

নতুন প্রজন্মের কাছে হাজার বছরের আবহমান বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরাই ছিল উৎসবের মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন স্টলে ছিল বাংলার ঐতিহ্যময় হরেক রকমের পিঠা-পুলি ও বাঙালি খাবারের পসরা।

রঙিন আর বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে প্রবাসী বাঙালি গৃহিণীরা পরিবেশন করেন চিতই পিঠা,পাটি সাপ্টা, পুলি, গোলাপ পিঠা,পাকন পিঠা, ভাপা পিঠা এবং হৃদয় হরন পিঠাসহ অন্যান্য পিঠা।

এছাড়া বাংলার প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় অবয়বে বাঙালিয়ানা সাজে সজ্জিত হয়েছিল বাংলাদেশ সেন্টার। আড্ডার সঙ্গে ছিল পিঠার আয়োজন। নারী-পুরুষ আর শিশু-কিশোরদের পদচারণায় পুরো সেন্টার পরিণত হয়েছিল এক খণ্ড বাংলাদেশে। সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করেন মাহবুবা নুর অনু ও রুবিনা ইয়াসমিন।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী বলেন, আমাদের রয়েছে সুন্দর একটি সংস্কৃতি, যে বলয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি। আমাদের সেই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ‍নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই পিঠা উৎসবের মধ্যে দিয়ে।

সহ-সভাপতি ইকবাল রহমান বলেন, এ ধরনের একটি উদ্যোগে বিদেশের মাটিতে আমাদের সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুব আনন্দ উপভোগ করছি।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা ইয়াসমিন জানান, খুব ভালো লাগছে সবাইকে একত্রিত দেখে। পিঠার ঐতিহ্যের পাশাপাশি আমাদের বাঙালিয়ানা আড্ডার ঐতিহ্যটাও এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা বজায় রাখতে পেরেছি।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেন বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে সারাবছর এভাবে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক উম্মে তানিয়া বলেন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে হদয়ে ধারণ করাই আমাদের এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement