২৫ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

কাপাসিয়ায় সরিষার বাম্পার ফলন

Advertisement

কাপাসিয়ার শীতলক্ষ্যা নদীর বুকে কুলগঙ্গা চরের সরিষা চাষিরা সরকারি বীজ না পেলেও নিজ উদ্যোগে বীজ সংগ্রহ করে ভালো ফলন পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মৌমাছির গুঞ্জণ আর ফুলে ফলনে ভরা শত শত বিঘা জমিতে সরিষা। কেউ সার দিচ্ছে, কেউ ঘুরছে, কেউবা মেেনর  সুখে গান করছে। ২২ জানুয়ারি রবিবার সকালে চরের কৃষকদের এমনি হাস্যজ্যোল চেহারায় দেখা গেছে।  

কুলগঙ্গা চরের মোতালেব মিয়ার ছেলে কৃষক হাবীবুর বলেন, সব সময় সরিষা চাষ করি। ভালো ফলন হয়। বীজ দিবে বলে সরকারি লোকেরা আইসা কয়দিন পর পর নাম নেয়। বীজ দেয়না। চাষী নারু দাস বলেন, দুই কেজি সরিষা ফালাইছি। আমার চার বিঘা জমিতে সব সময় সরিষা চাষ করি। ছাগল গরু এই ফসল নষ্ট করেনা তাই এ ফসলে লাভ বেশি। সরকারি বীজ পাইলে ভালো হইতো। টুকু মিয়ার ছেলে শহীদুল্লাহ বলেন, এইবার ভালো ফলন হইছে। মুডে মুডে (মুষ্টি ভরে) ফলন উঠবে। ৮ বিঘা জমিতে সরিষা হইছে।  আছর উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান বলেন, ১০ মন হইবে আমার চলবে। ৫০/৬০ হাজার টাকা বিক্রি করবো। ৩ হাজার টাকা খরচ হইছে। খালের বাপ ২০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করছে। ইছব আলীর ছেলে জয়নাল বলেন, আমার জমি ৫০ শতাংশ, পুরোটাই সরিষা চাষ করছি। ফাতেমা বলেন, সরিষা ক্ষেতে ঘুরতাছি। চরের চাষিরা মনে করেন,  বিঘা প্রতি ৭/৮ মণ সরিষা হবে।  সরিষা চাষে সেচ প্রয়োজন নেই। কম সময়ে নগদ টাকা মেলে। সরিষা গাছ রান্নার কাজে ব্যবহার হয়। সরিষার খৈল, পশু খাদ্য ও জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধিতে কাজে লাগে। 

কুলগঙ্গা এলাকার উপ সহকারি কৃষি কর্মকতা ওয়াসিম বলেন, কুলগঙ্গা গ্রামের এই চরে প্রায় ৫৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এই চরে কৃষকেরা একসাথে টরি সেভেন সরিষা চাষ করে। আমরা বারি চৌদ্দ বীজ দেই। চৌদ্দ বীজে তেলের পরিমান বেশি। আমি  বারি বীজের প্রদর্শণী করতে চাই কিন্তু প্রদর্শণীর বীজ আসতে দেরী হয়। কৃষকেরা সরকারি বীজ দেওয়ার আগেই টরি চাষ করে ফেলে। বীজ দেরি করে আসে বলেই কোনো প্রদর্শণী সাইনবোর্ড নেই। তিনি বলেন, চৌদ্দ বীজে ফলন বেশি। টরি সেভেন ফলন কম। 

কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন কুমার বশাক বলেন, কাপাসিয়ায় সরিষা উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছিলো ১৫০ হেক্টর। এটা অতিক্রম করে ১৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আগামীতে চরের চাষীদের বীজসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হবে। সিংহশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ খোকন বলেন, ইউপি সদস্য, এলাকার মুরব্বিরা যেভাবে তালিকা দিছে সেভাবেই বীজ দেওয়া হইছে। 

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খাঁন বলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষি অফিসারকে প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বীজ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।  

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement