১৮ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

রাস্তা বাতলাতে আমগাছে ওঠার পথনির্দেশ দিল ‘গুগল’

Advertisement

‘আজকের দিনে আর আদ্যানাথের মেসো কোথায় থাকে- তা জানার জন্য জগমোহনকে জিজ্ঞাসা করার দরকার পড়ে না।’ সুকুমার রায় এই সময়ে এমন ছড়া লিখলে হয়তো প্রশ্নটা করতেন গুগল ম্যাপসকে। কেননা হাতের স্মার্টফোনে থাকা ওই অ্যাপেই এখন মিলে যায় অচেনা জায়গায় পৌঁছনোর হদিশ। একেবারে ধরে ধরে কোন রাস্তা, কোন গলিতে ঢুকতে হবে সবই জানা যায়। কিন্তু সব সময় কি ওই ম্যাপের নির্দেশকে চোখ বুজে ভরসা করতে হবে? এই প্রশ্ন তুলে দিল সাম্প্রতিক এক ঘটনা। যা জেনে চোখ কপালে নেটিজেনদের।

ব্যাপারটা কী? তা জানতে অ্যালফ্রেডের দ্বারস্থ হতে হবে আমাদের। ওই ব্যক্তিই যে টুইটারে এক অমোঘ পোস্ট করেছেন। কী লিখেছেন তিনি? ঘানার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, গুগল ম্যাপস তাঁকে এমন নির্দেশ দিয়েছে, তা মানতে গিয়ে তিনি সটান ঢুকে পড়েছিলেন এক ঝোপঝাড়ের ভিতরে। এরপর তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয় বাঁদিকে যাওয়ার। আর তা মানতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ অ্যালফ্রেডের। কেননা সেখানে যে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক আমগাছ! অ্যালফ্রেডের প্রশ্ন, তাহলে কি তাঁকে আমগাছে গাড়ি তোলার পরামর্শ দিচ্ছে গুগল ম্যাপস!

তাঁর এহেন টুইট এই মুহূর্তে ভাইরাল নেট ভুবনে। টুইটেরাত্তিরা সেটি পড়ে নানা মন্তব্য করেছেন। একজন জানিয়েছেন, এমন অভিজ্ঞতা তাঁরও হয়েছিল। গুগল ম্যাপস তাঁদের কার্যত এক সেতুর উপরে তুলে সেখান থেকে ডান দিকে বাঁক নিতে বলেছিল। যা মানলে তাঁদের গাড়ি নিয়ে লাফ দিতে হত নিচে বয়ে যাওয়া নদীর পানিতে!

অবশ্য গুগল ম্যাপসের এমন আজগুবি পথনির্দেশ নতুন নয়। অনেক সময়ই সেই নির্দেশ মানতে গিয়ে গাড়ি চলাচলের অযোগ্য সরু গলি কিংবা কোনও বাড়ির ছাদে ওঠারও নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে গুগলের এই পথসারথীকে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন বেচারা অ্যালফ্রেড।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement