২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

গুলিস্তানে বাসচাপায় বৃদ্ধার মৃত্যু : আনন্দ বাসের চালকের ছিল না লাইসেন্স

Advertisement

রাজধানীর গুলিস্তানে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে হালিমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক আনন্দ পরিবহনের বাসের চালক মো. বাদল মিয়াকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

(৩ অক্টোবর) সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন পাচরুখী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩ এর একটি দল।

র‌্যাব-৩ বলছে, গ্রেপ্তার বাসচালক ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে দাবি করলেও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তার ড্রাইভিংয়ের ওপর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণও নেই।

(৪ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র‍্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে হালিমা বেগম (৫০) রাজধানীর গুলিস্তান সংলগ্ন সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেখানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী আনন্দ পরিবহনের একটি বাসকে ঢাকা-নরসিংদী রুটে চলাচলকারী মেঘালয় পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়াভাবে ওভারটেক করতে চায়। এ সময় আনন্দ পরিবহনের বাসের চালক বেপরোয়াভাবে গাড়িটি নিয়ে বের হতে চাইলে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়েন ভিকটিম হালিমা। ঘটনাস্থল থেকে পথচারীরা ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দুপুরে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

নিহত হালিমা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আইন্টার লাল মিয়ার স্ত্রী। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাসটির চালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

র‌্যাব-৩ অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার চালক বাদলের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে বলে দাবি করলেও র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তার ড্রাইভিংয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ নেই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাদল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement