১৯ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলার প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

Advertisement

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী (২২ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

(২০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে (৪ জুলাই) গ্রামীণ টেলিকম কর্মচারী ও টেলিকম ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

পর দিন রাজধানীর সেগুনবাগিচার আকরাম টাওয়ারের পাশ থেকে কামরুজ্জামান ও ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানিতে বিভিন্ন সময়ে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থায়ী না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ক্রমাগত নবায়ন করা হয়।

শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী বাৎসরিক লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ অনুপাতে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ), শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বরাবর দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির ‘কর্মচারীরা স্থায়ী নয়’ এবং ‘কোম্পানি অলাভজনক’ ইত্যাদি কথা বলে শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এরপর ২০২০ সালের (২৫ অক্টোবর) একযোগে ৯৯ শ্রমিককে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ ও লভ্যাংশ পাওনা, বেআইনিভাবে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরে কোম্পানিতে পুনর্বহাল, কোর্টের আদেশ অনুযায়ী পুনর্বহালের পরও দায়িত্ব না দিলে কনটেম্পট অব কোর্ট (আদালত অবমাননা), কোম্পানির অবসায়ন দাবিসহ অন্যান্য দাবিতে শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়ন গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শ্রম আদালত এবং হাইকোর্টে প্রায় ১৯০টি মামলা ও রিট পিটিশন দায়ের করে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement