২০ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

সৌন্দর্য বাড়ায় ‘ঘি’

Advertisement

প্রত্যেক মানুষের স্বপ্ন সুন্দর ,উজ্বল , চকচকে ত্বক । মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি মানুষ যেমন চিরকাল আকৃষ্ট হয়, ঠিক তেমনি সুন্দর ত্বকের অধিকারিণীও খুবই সহজে মানুষের মনে স্থান করে নেয় । কথায় বলে, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। কিন্তু এখন দূষণ ও চাহিদাপূর্ণ জীবনে, ত্বকের যত্ন আবশ্যক।

যাদের ত্বক সুন্দর তাদের কোনরকম প্রসাধনীর ব্যবহার ছাড়াই অনেক আকর্ষণীয় লাগে। বিভিন্ন স্থানে যেমন রাস্তায়, বাসে -ট্রেনে , অফিসে বা লোকালয়ে এমন একেকজনকে দেখা যায় , যাদের ত্বক অন্যদের তুলনায় অনেকটাই উজ্বল ।

আবার অনেকে বিজ্ঞাপন দেখে লোভে পরে হয়ত নানান ধরনের সৌন্দর্য সামগ্রী কিনে ফেলি । আমরা কিন্তু এটা চিন্তা করিনা যে জিনিসটা আমাদের ত্বকের জন্য উপযুক্ত কিনা, ভালো কিনা ! হয়ত ক্ষণিকের জন্য তা ত্বকে কিছুটা উপকার করলেও, তাতে ব্যবহৃত ক্ষতিকারক পদার্থ বা কেমিকেল কিছুদিনের পর থেকে ত্বকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে । যার ফলে বয়স ২৫ পেরোনোর পরেই ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।

তাই কেননা এইসব বাজারচলতি জিনিসের বদলে ঘরোয়া ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া যাক , তাতে ত্বক যেমন কেমিকেলের বিষাক্ত প্রভাব থেকে রেহাই পাবে আর অতিরিক্ত খরচ করারও প্রয়োজন পড়বে না।

* ভালো মশ্চারাইজার হিসেবে ঘি ব্যবহার –*

ঘি এর মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং ত্বকের পক্ষে ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার হল ঘি। শুকনা ত্বক, খসখসে ত্বক ইত্যাদি সমস্যায় ভালোভাবে ঘিয়ের মাসাজে ত্বক হয়ে ওঠে মোলায়েম ও সুন্দর । আবর অনেকের বার্ধক্য জনিত দাগ, মেচেদার ছোপ, কালচে ভাব ইত্যাদি দূর করতেও ঘিয়ের মাসাজ খুবই প্রয়োজন।

*চুলের সমস্যায় ঘি এর ব্যবহার –*

শুকনো ,উস্কো -খুস্কো, এলোমেলো চুল এর ক্ষেত্রে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য ঘি মিশিয়ে তা চুলে লাগালে চুল সিল্কি ও মোলায়েম হয় এবং সাদা চুলের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।

*শীতে শুকনো ঠোঁটের সমস্যা রোধে –*

শীতে শুকনা ঠোঁট সবারই সমস্যা। যেমন ঠোঁট ফেটে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে গিয়ে রক্ত বার হওয়া ইত্যাদি রোধে ঠোঁটের ওপর ঘি হালকা ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ঘিয়ের তেলতেলে ভাব ঠোঁটের চামড়ার ওপর একটি স্তর তৈরি করে এবং শীতকালের আর্দ্রতা থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষা প্রদান করে।

*পা ফাটার সমস্যা রোধে –*

আমাদেন মধ্যে অনেকের শুধু শীতকালে পা ফাটে, কারও কারও আবার সারা বছরই পা ফাটার সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় । এক্ষেত্রে রাতে শোবার সময় ঘিয়ের নিয়মিত মাসাজে পা ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় ।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement