চট্টগ্রামে বিরিয়ানি খাওয়ানোর কথা বলে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও পর হত্যার ঘটনায় জড়িত রিকশাচালক ওসমান হারুন মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে ডবলমুরিং থানার বেপারীপাড়া এলাকা থেকে বন্দর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার মিন্টু শিশু সুরমা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানায়, গত (১৮ সেপ্টেম্বর) বন্দর থানাধীন আবাসিক পোর্ট কলোনি সংলগ্ন ৮ নম্বর রোডে একটি পরিত্যক্ত ঘরে একটি শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ওই শিশুকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফুসলিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু কে এই ব্যক্তি তার পরিচয় উদঘাটনে বন্দর থানার একাধিক টিম মাঠে নামে।
বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বন্দর থানা পুলিশের একটি টিম সার্বক্ষণিক শিশু সুরমা আক্তার ধর্ষণ ও হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে বন্দর থানা, হালিশহর থানা এবং ডবলমুরিং মডেল থানার শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে তথ্যের ভিত্তিতে ঘাতককে শনাক্ত করে। ঘটনার ২৬ দিন পর অবশেষে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ঘাতক ওসমান হারুন মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মিন্টু পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে- বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকালে হালিশহর কে-ব্লক স্বপ্ন সুপার শপের পাশ থেকে শিশু সুরমা আক্তারকে তার রিকশায় উঠায়। বড়পুল এলাকায় নিয়ে একটি দোকান থেকে বিরিয়ানি খাওয়ায়। এরপর পোর্ট কলোনি সংলগ্ন ৮ নম্বর রোডের মাথায় বন্দরের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে শিশু সুরমা আক্তারকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ছদ্মবেশ ধারণ করে সে এতদিন পালিয়ে ছিল। ধৃত ওসমান হারুন মিন্টু নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে।
সিএমপি এডিসি (মিডিয়া) পংকজ দত্ত জানান, শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।