২০ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

চট্টগ্রামে ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে ব্যবসায়ীকে খুন করেন মামুন

Advertisement

চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জে যুবলীগ কর্মী শহীদুল ইসলাম আকাশকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার রাতে ও রোববার সকালে চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী ও চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজার এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন, মো. মামুন (২৫), মুকেশ চন্দ্র দাস (২৫), মো. ইকবাল (২২। এর মধ্যে মামুন ও ইকবাল আপন ভাই। ইকবালের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে।

(২৫ সেপ্টেম্বর) রোববার চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।

তিনি বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার চিনকিরহাট বাজারে নিজ ফার্নিচার দোকানের সামনে যুবলীগ কর্মী মো. শহিদুল ইসলাম আকাশকে মো. মামুন ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার বাবা ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামি মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিম শহিদুলের বোন বাদী হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার মো. মামুনের ছোট ভাই আফজাল হোসেনকে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। খুনের ঘটনার সময় মামুন নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলায় জেলহাজতে ছিলেন। আফজাল হোসেনকে শহিদুল ইসলাম আকাশের নির্দেশে খুন করা হয় বলে ধারণা ছিল মামুনের। এ ঘটনায় যে হত্যা মামলা দায়ের করা হয় সেটিতেও শহিদুল ইসলাম আকাশকে আসামি করা হয়।

তিনি বলেন, ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মামুন জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে সহযোগী মোতালেব, রাজু, নেজাম, হামিদ, মুকেশসহ পরিকল্পনা করতে থাকেন। তারা ফেনীতে বসে শহিদুল ইসলাম আকাশকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৯ সেপ্টেম্বর যুবলীগ কর্মী শহীদুলকে কুপিয়ে হত্যা করেন তারা।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক বলেন, শহিদুল হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মামলার ১ নং এজাহারভুক্ত আসামি মো. মামুনকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার সিডিএ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া গতকাল রাতে ৩ নং আসামি মুকেশ চন্দ্র দাস ও মো. ইকবালকে চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement