১৮ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সারাবিশ্বে খাদ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চিনি রপ্তানি সীমিত করবে ভারত

Advertisement

ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ। ব্রাজিলের পরে চিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক তারা।

দেশের ভেতরে দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চিনি রপ্তানি সীমিত করার পরিকল্পনা করছে ভারত। খবর রয়টার্সের।

ভারতের একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটি চলতি মৌসুমে চিনির রপ্তানি ১০ মিলিয়ন টনে সীমাবদ্ধ করতে পারে।

বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত। ব্রাজিলের পরে চিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশটি।

চলতি বছরের মার্চে রয়টার্স জানায়, স্থানীয় দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে চিনি রপ্তানি কমানোর পরিকল্পনা করছে ভারত।

অন্যদিকে, ব্রাজিলে চিনির উৎপাদন কম হওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় দেশটিতে আখ-ভিত্তিক ইথানল উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী খাদ্য মূল্যের ওপর।

প্রাথমিকভাবে ভারত ৮ মিলিয়ন টনে চিনি রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু, পরবর্তীতে দেশটির সরকার আরও ২ মিলিয়ন টন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

ভারতের চিনি উৎপাদনকারী ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তাদের এবারের উৎপাদন হতে পারে ৩৫.৫ মিলিয়ন টন; যা তাদের আগের অনুমান (৩১ মিলিয়ন টন) থেকে বেশি।

ভারতীয় চিনিকলগুলো সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই চলতি ২০২১-২২ সালে ৮.৫ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানির চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিবদ্ধ ৮.৫ মিলিয়ন টন এর মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রায় ৭.১ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বলরামপুর চিনি, ডালমিয়া ভারত সুগার, ধামপুর সুগার মিলস, দ্বারিকেশ সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং শ্রী রেনুকা সুগার এর মতো নেতৃস্থানীয় চিনিকলগুলোতে শেয়ারের পরিমাণ মঙ্গলবার ৮ শতাংশের মতো কমেছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলগুলোকে ১০ মিলিয়ন টন রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভারতকে বিশ্ববাজারে বেশি পরিমাণে চিনি বিক্রি করতে সহায়তা করবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুম্বাই-ভিত্তিক একজন ডিলার বলেন, “১০ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানিতে মিল এবং সরকার উভয়ই সন্তুষ্ট থাকবে।”

তিনি আরও জানান, ১০ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানি করার পর চলতি বছরের ১ অক্টোবরে ভারতে চিনির স্টক থাকবে মোট ৬ মিলিয়ন, যা ডিসেম্বরে দেশটির উৎসবকালীন চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement