২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

কোটিপতি বানাতে জিনের বাদশা নেন ৭৪ লাখ টাকা

Advertisement

রংপুরে প্রলোভন দেখিয়ে ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক জিনের বাদশাকে স্ত্রীসহ গ্রেফতার করেছে মহানগর ও জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শনিবার রাতে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ মিয়া ওরফে সবুজ মেম্বার (৪৩) তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৩)। রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামে তাদের বাড়ি।

রোববার দুপুরে রংপুর মহানগর ও জেলা সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আতাউর রহমান।

তিনি আরও জানান, শনিবার দিনগত রাতে মমিনপুর ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রংপুর নগরের পশ্চিম বাবুখাঁ এলাকার ব্যবসায়ী মামুনুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের জুলাই মাসে মহানগর কোতোয়ালি থানায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ একটি মামলা করেন।

ওই মামলার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আতাউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মামুনুর রহমানের মনা ইলেকট্রনিকস নামে শাপলা চত্বরে একটি দোকান রয়েছে। ২০০৫ সালে সবুজ মিয়া ওরফে সবুজ মেম্বার ও পারভীন বেগমের সঙ্গে মামুনুর রহমানের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুযোগে সবুজ মিয়া নিজেকে জিনের বাদশা হিসেবে পরিচয় দেয়। এ সময় প্রতারণার উদ্দেশ্যে প্রকৃত নাম-ঠিকানা ও পরিচিতি গোপন রাখেন তারা।

তিনি আরও বলেন, প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগী মামুনুর রহমানকে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়াসহ অল্প দিনের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার প্রলোভন দেখান। তাকে মার্কিন ডলার, প্রাচীন ধাতব মুদ্রা, স্বর্ণমূর্তি, মূল্যবান পাথরের মূর্তি সংগ্রহ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। শুধু তা-ই নয়, খুব দ্রুত শত শত কোটি ডলারের মালিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যাংকে জমা হবে। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বস্তায় করে তারা মামুনুর রহমানকে বাড়িতে পৌঁছেও দেবেন। এসব কথার ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ী মামুনুর রহমানকে দিয়ে ব্যাংক হিসাব চালু করে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর করা চেকবই হাতিয়ে দেন প্রতারক দম্পতি।

সরল বিশ্বাসে নিজের জমিজমা বিক্রি করে সবুজ ও পারভীন দম্পতিকে কয়েক দফায় ৭৪ লাখ টাকা প্রদান করেন ব্যবসায়ী মামুনুর রহমান। দীর্ঘদিন ধরে ঘটনাটি চেপে রাখলেও গত বছরের ২৭ জুলাই রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। পলাতক এ দুই আসামিকে শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে গ্রেফতার করেন সিআইডি পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement