২৫ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা

Advertisement

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় সাকিসহ আরও অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।

আজ ০৭  জুন বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কারের ইমরান ইমু, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, কার্যকারী সদস্য কামরুন নাহার ডলি, যুবঅধিকার পরিষদের বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ডা. রাসেল, মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের নাহিন ইসলাম গাজী, চট্টগ্রাম গণসংহতির জেলা হাসান মারুফ রুমী, চট্টগ্রাম মহানগর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল।  

জানা যায়, জোনায়েদ সাকি সীতাকুণ্ডে বিএম কনেটইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধদের দেখতে যান। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটে জোনায়েদ সাকি ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন।

জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, সকালে আমরা সীতাকুণ্ডে গিয়েছিলাম। এরপর চমেক হাসপাতলে রোগীদের দেখতে যাই। আমরা যখন গাড়িতে উঠি তখন তারা গাড়িতে হামলা করে। আমি গাড়িতে ছিলাম। ইট দিয়ে হামলা করেছে। নেতাকর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ২০ জন আহত হয়েছেন। আমাদের সাতটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এ সময় হামলার শিকার হন।  

পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রাজু বলেন, ‘হাসপাতালে বিএম ডিপোতে দগ্ধদের দেখতে এসে তারা প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য শুনে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে ছাত্রলীগ এবং সাধারণ মানুষ তাদের ধাওয়া দেয়।    

এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, চমেক হাসপাতলে জোনায়েদ সাকিকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement