১৭ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

‘জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে সংকট আরও ঘনীভূত হবে’ : গোলাম রহমান

Advertisement

জ্বালানির দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তাতে জনজীবনে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।

(১০ আগস্ট) বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের ‘নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: জনজীবনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘জ্বালানির দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তাতে জনজীবনে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। ২০০৪-২০০৭ সালে সারাক্ষণ বিদ্যুৎ আসতো-যেতো। তার কারণ সেসময় যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন, তারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে বিদ্যুতের লাইনের খুঁটির সংখ্যা বাড়াতে অধিক মনোযোগী ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আজ এখানে (সংলাপে) আসার পর লোডশেডিং। কিছুক্ষণ আগেও বিদ্যুৎ চলে গেছে। ২০০৬ -২০০৭ সালে আমরা যে সংকটে ছিলাম, আজও সেই সংকটে আছি। যেখানে ছিলাম, ঘুরে ফিরে আবার সেখানে চলে গেছি।’

গোলাম রহমান বলেন, ‘২০০৪-২০০৭ সালে যে সংকটের কথা বলেছিলাম, সেটি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের যে পদক্ষেপ ছিল সেটি হলো দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো। সেজন্য রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের এক বিরাট কর্মযজ্ঞ শুরু করে। এ রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল খুব ভালো পদক্ষেপ ছিল সেসময়ের জন্য। কিন্তু যা একসময় ভালো, তা সবসময় ভালো থাকবে তা তো নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪-৫ বছর পর দেখা গেলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে স্বল্পতা আমাদের ছিল, সেই স্বল্পতা থেকেই গেলো। সেসময় আমাদের মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের। কিন্তু তা না করে সরকার যা করলো, শুধু রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের সংখ্যা বাড়ানো হলো।’

এসময় সরকার বিদ্যুৎখাতে কত ভর্তুকি দিয়েছে এবং রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার আহ্বান জানান গোলাম রহমান।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ ডলার। আরও যদি কোনো বিপত্তিকর অবস্থা না হয়, তাহলে মাথাপিছু আয় এ বছর তিন হাজার ডলার অতিক্রম করার কথা। এরই মধ্যে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় পঞ্চম স্থান অর্জনে করেছে। আর এশিয়ায় এক নম্বরে রয়েছে।’

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় সংলাপে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক প্রমুখ।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement