পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা অনেক দেশের কাছে টিকা চেয়েছি। সবাই আমাদের বলে টিকা দেবে, তবে কবে দেবে সেটা বলে না। তিনি বলেন, উৎপাদনে সফল হলে পরবর্তীতে আমরা নিজেরাই টিকা রপ্তানি করতে পারবো।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ফিলিস্তিনকে ওষুধ সামগ্রী উপহার হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমরা নানা দেশের কাছেই টিকা চেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চেয়েছি। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের রাডার স্কেলে নেই। যেসব দেশে করোনায় বেশি মারা গেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্র টিকায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে আমাদের মারা গেছে মাত্র ১২ হাজার। তাদের চোখে এটা খুবই কম।
টিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিরাও চেষ্টা করছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে ১৬৫৪ জন বাংলাদেশি টিকার জন্য হোয়াইট হাউজে চিঠি দিয়েছেন।
টিকা উৎপাদনের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশে করোনা টিকার যৌথ উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। যেসব কোম্পানির সক্ষমতা আছে, পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যমে তারা উৎপাদনে যেতে পারে। উৎপাদনে সফল হলে পরবর্তীতে আমরা নিজেরাই টিকা রপ্তানি করতে পারবো।