২৪ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

ঢাকার ধামরাইয়ে এক মানসিক রোগীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

Advertisement

ঢাকার ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নে নওগাঁও বাজারে এক মানসিক রোগীকে মোটরসাইকেল পরিষ্কার করতে বলা হয়। পরিষ্কার করতে যেয়ে সময় হঠাৎ করে মোটরসাইকেলের ট্যাংকিতে পানি চলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে ওই মানসিক রোগীকে নওগাঁও বাজারের নৈশ প্রহরী রাহাদ ও বাজার সেক্রেটারী মাসুদ রানার ভাই রাসু মিয়াসহ কয়েকজন বাঁশ ও রড় দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

অবস্থার বেগতিক দেখে বাজারের চা দোকানদার বাবুল হোসেন তাদের কথামত হাসপাতালে না রেখে ভ্যান গাড়িতে করে ভাটারখোলা একটি পরিত্যাক্ত ইটভাটায় ফেলে আসে। এতে শহিদুল ইসলাম আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। (১১ নভেম্বর) শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের নেয়ার পথে মারা যায় সে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য মর্গে পাঠায়।

আয় রবিবার সকালে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এঘটনায় ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের ভাই স্বপন মিয়া। ধামরাইয়ের নওগাঁও বাজারের পাশে হাই স্কুলের বারান্দায় গত ৫ বছর ধরে পাশের ভগবান পুর গ্রামের আজিম মিয়ার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন শহিদুল ইসলাম বসবাস করে আসছিলেন। সে মানুষের বাড়িতে খাবার খাইতেন এবং কাজকর্ম করে দিতেন।

গত (৭ নভেম্বর) নওগাও বাজারের রাসু মিয়ার মোটরসাইকেল ধুয়ে দিতে বলে শহিদুল ইসলামকে। এসময় তেলের ট্যাংকিতে পানি যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাসু, বাজারের গার্ড রাহাদসহ কয়েকজন মিলে তাকে ব্যাপক পিটায়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এসময় বাবুল নামে এক চা দোকানদার তাকে হাসপাতালে না নিয়ে পাশের পরিত্যাক্ত একটি ইটভাটায় ফেলে দেয়। ওই খানে ৪ দিন অর্ধহারে অনাহারে ও বিনা চিকিৎসায় আরও অসুস্থ হয় শহিদুল ইসলাম। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গত শুক্রবার রাতে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় রাসুর ভাবি রুনু আক্তার জানান, রাসুকেও মারধর করেছে ওই পাগল। তাই রাসুও তাকে পিটিয়েছে বলে শুনেছি। তবে রাসুসহ সকল অভিযুক্তরা পালিয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত শহিদুল ইসলামের ভাই স্বপন জানান, আমার মানসিক ভারসাম্যহীন। ভাইকে যারা অন্যায়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের আমি কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

ধামরাই থানার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement