২৪ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

দাঁতের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলোর থেকে প্রতিরোধের উপায়

Advertisement

দাঁত আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গ। প্রতিদিন আমরা যে খাবারগুলো খাই দাঁত তা চূর্ণবিচূর্ণ করে ভেঙে পরিপাক উপযোগী করে তোলে, ফলে আমরা যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ করতে পারি। সে জন্য বলা হয় মুখের স্বাস্থ্য সামগ্রিক দেহের স্বাস্থ্যের প্রতিচ্ছবি। দাঁতের জন্য উপকারী অনেক খাবারের কথা আমরা জানি; কিন্তু এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দাঁতের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই খাবারগুলো বর্জন করে দাঁত সুস্থ-সবল করার ব্যবস্থা করতে হবে।

* মিষ্টি বা চিনিযুক্ত আঠালো খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, ক্যান্ডি, ব্রেড ও ভঙ্গুর মচমচে মিষ্টি চিপস ইত্যাদি খাবার।

* মিষ্টি ফলমূল যেমন খেজুর, কিশমিশ খাবার পর দাঁতে লেগে থাকলে তাতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। আবার এসিডযুক্ত ফলের জন্য এনামেলের ক্ষতি হতে পারে। মাখনযুক্ত চিনাবাদাম দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। কম পানিযুক্ত শুকনা ফল দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।

* কার্বোনেটেড কোমল পানীয়তে প্রচুর চিনি, ফসফরিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড থাকে। এগুলো এনামেলের জন্য ক্ষতিকর।

* কফি, অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। কারণ তা লালা নিঃসরণ কমিয়ে দেয়।

ক্ষতি প্রতিরোধে কী করতে হবে?

মিষ্টি খাবারগুলো বা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলো অনেক সময় আমাদের প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে খেতে হতে পারে; কিন্তু তা যেন আমাদের দাঁতে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।

* প্রথমে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। পরে মিষ্টি খাবার খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার প্রথমে খেলে মুখ থেকে লালা নিঃসৃত হবে, যা ক্ষতি কিছুটা প্রশমিত করবে।

* প্রতিদিন দুইবার ১২ ঘণ্টা অন্তর ব্রাশ করতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিবার খাবার পর ব্রাশ করতে হবে।

* প্রতি রাতে একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।

* মিষ্টি ও আঠালো খাবার গ্রহণের পর ব্রাশ করতে হবে।

* ফল বা ফলের রস পান করার কুলকুচি করতে হবে।

ক্ষতি হয়েই গেলে কী করবেন?

* দ্রুত ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে এবং পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

* ক্ষতি জটিলতর অবস্থায় না চলে গেলে প্রফেশনাল ডেন্টাল কেয়ার জন্য যা করার দরকার তা করতে হবে।

* ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে বা ডেন্টিস্টের কাছে বার্ষিক ভিজিট নিশ্চিত করতে হবে।

* আমাদের মনে রাখতে হবে, বেশি ক্ষতি হলে সময় ও খরচ উভয়ই বেড়ে যায়। তাই আগে থেকে সচেতন হোন, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখুন। দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকলে দেহ সুস্থ থাকবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement