২৫ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

দিনাজপুরে শীত কমায় ধুম পড়েছে বোরো রোপণে

Advertisement

দিনাজপুরে শীত কমার সাথে সাথে ফসলের মাঠে মাঠে বোরো ধানের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। এখন মাঠজুড়ে কৃষক আর কৃষি শ্রমিকরা চারা উত্তোলন, রোপণ নয়তো জমি প্রস্তুতকরণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

পৌষের শেষেই সাধারণত দিনাজপুর অঞ্চলে বোরো চারা রোপণ শুরু হলেও এবার অন্যান্যবারের চেয়ে কুয়াশা ও শীতের কারণে দেরিতে চারা রোপন করছেন কেউ কেউ। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কৃষক একটু সময় নিয়ে মাঠে নেমেছে। অল্প সময়ে বোরো চারা রোপণের মধ্য দিয়ে ফসলের মাঠ ভরে যাবে। এবার কৃষক আমন ধানের ভাল দাম পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো চাষও লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। সার ও কীটনাশকের কোনো সংকট নেই বলে কৃষি বিভাগ জানায়। 

দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ায় মাঘের শীতকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠে দেখা গেছে কৃষকদের। কেউবা জমিতে পানি দিচ্ছেন, কেউবা হাল চাষ করছেন আবার কোনো কৃষক জমিতে কোদাল নিয়ে জমির আইল বাঁধছেন। যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের যেন স্থবিরতা নেই।

বিরামপুরের আমবাড়ী বালুপাড়া গ্রামের কৃষক আছিম উদ্দিন জানান, তিনি অন্যান্যবার এ সময় বোরো চারা রোপণ করে ফেলেন। কিন্তু এবার শীত বেশি হওয়ায় একটু দেরিতে চারা রোপণ শুরু করেছেন।

চিরিরবন্দরের নশরতপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করবেন। শীত ও কুয়াশার কারণে দেরিতে মাঠে নেমেছেন। তবে সার কীটনাশক সঠিক সময় সরবরাহ ও দাম কম পাওয়ায় তিনি এই পিছিয়ে যাওয়াকে সমস্যা মনে করছেন না।

কাহারোলের বলেয়া গ্রামে দেখা যায়, ভোরেই কৃষকেরা দল বেঁধে মাঠে বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন। এসময় কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে কী করে। বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমদের হবে না, গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কি।’ 

কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, বোরো আবাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার, প্যাচিং পদ্ধতি ও লাইন করে ধান লাগালে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এবার ৯ হাজার ৪৩৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement