২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

ধোয়ার পরও কীটনাশক থেকে যায় যেসব ফলে

Advertisement

ফল বা সব্জিতে ব্যবহার করা রাসায়নিক সার, কীটনাশক শরীরে কী পরিমাণ ক্ষতি করে, তা সকলেরই জানা। তা সত্ত্বেও ওই বিষযুক্ত খাবারই খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি আমরা।

সুস্থ শরীরের জন্য টাটকা ফল, শাকসব্জির কোনও বিকল্প নেই। ভিটামিন, প্রোটিন, বিভিন্ন খনিজে সমৃদ্ধ হলেও ফল বা সব্জিতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে কীটনাশকও থাকে। এই সব্জি বা ফলের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলার জন্য কৃষকবন্ধুরা জমিতে সার, ফল বা সব্জিতে কীটনাশক দিয়ে থাকেন।

এই কীটনাশক খাবারের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছলে, তা রক্তের সঙ্গে মিশে নানা রকম রোগের জন্ম দেয়। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বিঘ্নিত করে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ দিন ধরে এই বিষ শরীরে মিশতে থাকলে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও এড়িয়ে চলা যায় না। খাবারে দেওয়া এই কীটনাশক প্রজননে, এমনকি ভ্রূণের বিকাশেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।

আমেরিকায় পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণায় যুক্ত একটি দল তাদের তথ্যে জানিয়েছে, পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফল বা শাক-সব্জিকে রক্ষা করতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় সর্বত্র। কিন্তু সেই ফল বা সব্জির মধ্যে কীটনাশক ধরে রাখার ক্ষমতা ভিন্ন। জানেন ধোয়ার পরও কোন কোন ফল বা সব্জিতে একটু হলেও কীটনাশক থেকে যায়?

বিগত দু’বছর ধরে প্রথম স্থানে রয়েছে স্ট্রবেরি। দ্বিতীয় স্থানে পালং, ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে আপেল এবং আঙুর। সব্জির মধ্যে বেল পেপার রয়েছে সপ্তম স্থানে। অন্য দিকে, অ্যাভোকাডো, সুইট কর্ন, আনারস, পেঁয়াজ, পেঁপে, মটর, তরমুজ, মাশরুম, মিষ্টি আলুতে কীটনাশকের মাত্রা সব চেয়ে কম।

পরের দিন সকালে খাবেন বা রান্না করবেন এমন ফল এবং সব্জিগুলি আগের রাত থেকে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। হাতে এত সময় না থাকলে রান্না করার ঘণ্টা দুয়েক আগে হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এ ছাড়া যে সব ফল খোসাসহ খাওয়া যায়, সম্ভব হলে সেগুলির খোসা ফেলে দিয়ে খান।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement