২৫ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

নির্বাচনে হার ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর

Advertisement

কিছু দিনের মধ্যেই ন্যাটোয় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে ফিনল্যান্ড। তার ঠিক আগে হেরে গেলেন ফিনল্যান্ডের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট প্রধানমন্ত্রী।

এতদিন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা ফিনল্যান্ডের শাসক দল ছিল। মাত্র ৩৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সান্না মারিন। কিন্তু দ্বিতীয়বার গদিতে ফেরা হলো না তার।

সোমবার সকাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ডের ভোটের যে ফলাফল মিলেছে, তাতে সান্নার দল তৃতীয় স্থানে আছে। তবে বিজয়ী দলের সাথে তাদের ভোটের তফাত খুব বেশি নয়। সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে সেন্টার রাইট ন্যাশনাল কোয়ালিশন। দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণপন্থী ফিনস পার্টি। ন্যাশনাল কোয়ালিশন পেয়েছে ২০ দশমিক আট শতাংশ ভোট। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটেরা পেয়েছে ১৯ দশমিক নয় শতাংশ ভোট। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফিনস পার্টি পেয়েছে ২০ দশমিক এক শতাংশ ভোট।

কোনো দলই সেই অর্থে সরকার গঠনের জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। ফিনল্যান্ডে উপস্থিত ডিডাব্লিউয়ের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, খাতায় কলমে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের সাথে জোট করে সরকার গঠন করতে পারে ন্যাশনাল কোয়ালিশন। কিন্তু ভোটের আগে একাধিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল। সেই বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই ভোট হয়েছে। ফলে ভোটের পর এই দুই দলের পক্ষে জোট তৈরি করে সরকার গঠন করা মুশকিল।

তবে অপেক্ষাকৃত কম ভোট পাওয়া আরো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দলকে সাথে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে ন্যাশনাল কোয়ালিশন। যদিও তাদের পক্ষ থেকে এখনো তেমন কোনো ইঙ্গিত দেয়া হয়নি।

শাসক দলের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য হার স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। তিনি হার মেনে নিচ্ছেন। বস্তুত, তার হাত ধরেই ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দিতে চলেছে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ফিনল্যান্ডের আইনসভা ন্যাটোয় যোগ দেয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়। ৩০ সদস্যের ন্যাটোয় ফিনল্যান্ডের সাথে সুইডেনও যোগ দেয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে।

বস্তুত, ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার প্রায় তেরশ কিলোমিটার সীমান্ত। সে কারণেই তারা এত মরিয়া হয়ে উঠেছে। সুইডেন এখনো সব দেশের থেকে সবুজ সংকেত না পেলেও সম্প্রতি তুরস্কের ভোট পেয়ে ফিনল্যান্ড এখন ন্যাটোয় যোগ দেয়ার জন্য তৈরি।

এর আগে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে রেকর্ড তৈরি করে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সান্না মারিন। এ বছর দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়ছিলেন তিনি। প্রচারে একাধিকবার ন্যাটোর প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তার ন্যাটো প্রস্তাব ফিনল্যান্ডের মানুষের উপর ততটা প্রভাব ফেলেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ভয়াবহ লেবার বা মজুরের অভাবই এমন ফলাফলের কারণ।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement