রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে হার মেনে নিতে পারেনি প্রতিপক্ষ। তারা নির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ একে একে তিনজনকে হত্যা করেছে। আলোচিত এ হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়ায় সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার আতাউর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলার লোহালী ইউনিয়নের বাগডোহরা গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য হিসেবে আজিজুল ইসলাম বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। বিষয়টি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম ও তার লোকেরা মেনে নিতে পারেননি। তারা বিজয়ী আজিজুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত ৬ এপ্রিল ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম স্থানীয় আনন্দ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামি শফিফুল ইসলামের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা করা হয়। আজিজুল ইসলাম দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মমিন আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর পরই আজিজুল ইসলামের সমর্থক রেয়াজুল ইসলামকে তার বাড়িতে ঢুকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে জবাই করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ড দুটির প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন নিহত আজিজুল ইসলামের ১১ বছরের ভাতিজি মোনালিসা। কিন্তু ঘটনার চার মাস না পার হতেই শফিকুল ও তার সহযোগীরা ওই শিশুকেও হত্যা করেন।
সিআইডির পুলিশ সুপার জানান, আসামি শফিকুল ইসলামকে রংপুর নগরী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় বেশ কয়েকজন আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।
আতাউর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রংপুর সিআইডিকে মামলাগুলো তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত করতে গিয়ে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১৩টি বল্লম, দুটি ছোড়া ও একটি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত শফিকুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
