২৪ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমলো 

Advertisement

পঞ্চগড়ের চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ডের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে বছর। (৩১ ডিসেম্বর) শনিবার সকাল ৯টায় এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবারও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। বর্তমানে এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্য মতে জানা যায়, ২০২২ সালের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩১ জানুয়ারিতে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পাশাপাশি (৩০ জানুয়ারি) ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, (২৯ জানুয়ারি) ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, (২৮ জানুয়ারি) ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরো জানুয়ারি মাসে ১৮ দিনের মতো ১০ এর নিচে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল। গত মাসে (৬ ফেব্রুয়ারি) মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারিতে ১১ দিন ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হতে দেখা যায়।

সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ। বিকেল থেকেই বইতে শুরু করে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এ হাওয়ায় নেমে আসে শীত। গত তিন দিন ভোর থেকে বেলা অবধি ঘন কুয়াশা থাকলেও আজ ভোর থেকে কুয়াশা না থাকায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রামে শহরের হাটবাজারগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।  

শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের শেষ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালও ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে জানুয়ারিতে তাপমাত্রা কমতে পারে।  

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement