১৭ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

পরীক্ষার ফল অনলাইনে দেয়ার নামে রশিদ ছাড়া অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

Advertisement

বরগুনার বেতাগী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করার কথা বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে এই অর্থ আদায় হয়েছে। এতে  ৭০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮৪ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে বিদ‍্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।

বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করার কথা বলে টাকা এই ৮৪ হাজার টাকা নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে না দিয়ে ম‍্যানুয়াল পদ্ধতিতে কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করে। টাকা নিয়েও আগের পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করার পর থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনার বেতাগী উপজেলার বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার শুরুর পূর্বে বিদ্যালয়ের বেতন ও পরীক্ষার ফি’র পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ফলাফল অনলাইনকরণ ফি বাবদ অতিরিক্ত ১২০ টাকা দিতে হয়েছে। তবে এর জন্য কোনো শিক্ষার্থীদের কাছে দেয়া হয়নি কোন রশিদ। তাদের শুধু বেতন ও পরীক্ষার ফি’র রশিদ দেয়া হয়। এছাড়াও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির জন্য জরিমানাসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়েও অর্থ আদায় করে আসছে বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে কথা বললে পরীক্ষায় নানা জটিলতা ও ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা এবং ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ভয়ে এর প্রতিবাদ করেন না।

রেজাউল কবির জুয়েল নামে এক অভিভাবক কেটিভি প্রতিদিনকে বলেন, আমি যখন আমার ছেলের বার্ষিক পরীক্ষার ফির টাকা দিতে যাই তখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত টাকার পরেও অতিরিক্ত ১২০ টাকা নেয়। অতিরিক্ত এই টাকা উল্লেখ না করেই তাঁরা রশিদ দিয়েছে। তাঁরা বলেছে সারা বছরের অনলাইন ফি বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকেই এই টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ে এর আগে কখনও ফলাফল বা অন্য কিছু অনলাইনে প্রকাশ হতে দেখিনি।

রঞ্জন মল্লিক নামে আরেক অভিভাবক কেটিভি প্রতিদিনকে বলেন, আমার মেয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফি দেয়ার সময় ফলাফল অনলাইন করার কথা জানিয়ে তাঁরা অতিরিক্ত ১২০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু তাঁরা ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করেনি। তাছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে রশিদ ছাড়া টাকা নেয়ার কথা কখনও শুনিনি।

এ বিষয়ে বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কবির কেটিভি প্রতিদিনকে বলেন, করোনায় পরীক্ষা বন্ধ হবার আগে ফলাফল অনলাইনে হত। সামনে পরীক্ষার ফলাফল ও ভর্তি অনলাইনে চালু করবো। সারা বছরের অনলাইন খরচ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২০ টাকা নেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে এর জন্য কোন বরাদ্দ আমরা পাইনা। আমরা পরবর্তীতে এই টাকার জন্য রশিদের ব্যবস্থা চালু করবো বলে তিনি জানান। 

বেতাগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান কেটিভি প্রতিদিনকে বলেন, ফলাফল অনলাইনে প্রকাশের জন্য টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন কেটিভি প্রতিদিনকে বলেন, রশিদ ছাড়া কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement