১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার

পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসের ফাঁদে আটকা ১৪২ কোম্পানির শেয়ার

Advertisement

দেশের পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসের ফাঁদে আটকা পড়েছে ১৪২টি কোম্পানির শেয়ার। ফলে এসব কোম্পানির ক্রেতা-বিক্রেতা শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারছে না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূ্ত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, সর্বশেষ কার্যদিবস (১৮ সেপ্টেম্বর) রোববার ডিএসইতে মোট ৩৭১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটিরে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

এদিন মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৪টি কোম্পানিসহ মোট ১৪২টি কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসেই পড়ে আছে। ফলে এসব কোম্পানির বিনিয়োগাকারীরা শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারে না।

তারা বলেন, বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপের শেয়ারের পাশাপাশি জেএমআই হসপিটাল এবং সি পার্ল হোটেলসহ হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে। অপরদিকে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারও দাম কমছে। এগুলো ফ্লোর প্রাইসের আটকা পড়ছে।

বাজারে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্যান্য খাতের শেয়ারের তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ডের পাশাপাশি বস্ত্র, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ার বেশি ফ্লোর প্রাইসের মধ্যে আটকা রয়েছে।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিরবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফ্লোর প্রাইস দেওয়া বিষয়টি আমিও পছন্দ করি না। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটি আমাদের দিতে হয়েছে। তা না হলে বাজারের দরপতন হয়ে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, করোনার মহামারি থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় দেশে প্রথমবার ২০২০ সালে ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার সীমা) দিয়েছি। এরপর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আশা করছি বাজার স্বাভাবিক হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে।

চলতি বছরের ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকাতে সর্বনিম্ন বাজার মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপর শেয়ার দাম বাড়ায়-কমায় ফ্লোর প্রাইসের নিচে থাকা কোম্পানির সংখ্যাও ওঠানামা করতে থাকে।

ফ্লোর প্রাইস হলো- কোনো কোম্পানির সর্বশেষ পাঁচ কর্মদিসের শেয়ারের গড় প্রাইস কে বলা হয় ফ্লোর প্রাইস। ফ্লোর প্রাইস আরোপের ফলে বর্তমানে কোনো সার্কিট ব্রেকার নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement