২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

পৌষ সংক্রান্তি আজ

Advertisement

আজ শুক্রবার। ১৪২৮ বঙ্গাব্দের ৩০ পৌষ। বাংলা বছরের পৌষ মাসের শেষ দিন। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে পৌষ মাসের শেষ দিনটি কোথাও কোথাও মকর সংক্রান্তি হিসেবেও পালন করা হয়। গ্রাম বাংলায় এই উৎসবে বাড়িতে বাড়িতে পিঠার আয়োজন করা হয় আগে থেকেই। আয়োজন করা হয় ঘুড়ি উৎসবেরও। এই সংক্রান্তিতে মেলাও হয়।

পৌষ বিদায় নিচ্ছে। আর আজ শুক্রবার এই পৌষের সমাপনী দিনে উদ্যাপিত হচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব পৌষ সংক্রান্তি। একই দিনে পুরান ঢাকা মাতবে সাকরাইন উৎসবে। অনেক আগে থেকেই পুরান ঢাকায় সাড়ম্বরে পালিত হয় দিনটি। মুঘল আমল থেকে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। উৎসবে অংশ নেন সব সবাই। পুরান ঢাকা এলাকার মানুষ এ উৎসবে দিনব্যাপী ঘুড়ি উড়ান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে বাড়বে ঘুড়ির সংখ্যা, বাড়বে উৎসবের রঙ। সব মিলিয়ে রঙিন ঘুড়িতে ছেয়ে যাবে ঢাকার আকাশ। সারাদিন ঘুড়ি উড়ানোর পরে সন্ধ্যায় পটকা ফুটিয়ে ফানুস উড়িয়ে উৎসবের সমাপ্তি করে।

‘মকরসংক্রান্তি’ শব্দটি দিয়ে নিজ কক্ষপথ থেকে সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশকে বোঝানো হয়ে থাকে। ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, ‘সংক্রান্তি’ একটি সংস্কৃত শব্দ। এর দ্বারা সূর্যের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। ১২টি রাশি অনুযায়ী এরকম সর্বমোট ১২টি সংক্রান্তি রয়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সংক্রান্তিতে মূলত নতুন ফসলের উৎসব ‘পৌষ পার্বণ’ উদযাপিত হয়। নতুন ধান, খেজুরের গুড় ও পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি করা হয়, যার জন্য প্রয়োজন হয় চালের গুঁড়া, নারিকেল, দুধ আর খেজুরের গুড়।

মকর সংক্রান্তি নতুন ফসলের উৎসব ছাড়াও ভারতীয় সংস্কৃতিতে ‘উত্তরায়ণের সূচনা’ হিসেবে পরিচিত। একে অশুভ সময়ের শেষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পঞ্জিকা মতে, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়। এই দিনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত সাগরদ্বীপে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে কপিল মুনির আশ্রমকে কেন্দ্র করে পুণ্যস্নান ও বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সহস্রাধিক পুণ্যার্থী ও অন্যান্য রাজ্য থেকে আগত দর্শনার্থীদের সমাগম হয় এই মেলায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায় এই দিবস বা ক্ষণকে ঘিরে উদযাপিত হয় উৎসব। নেপালে এই দিবসটি মাঘি নামে, থাইল্যান্ডে সংক্রান, লাওসে পি মা লাও, মিয়ানমারে থিং ইয়ান এবং কম্বোডিয়ায় মহাসংক্রান নামে উদযাপিত হয়। অবশ্যিকভাবে দেশ ভেদে এর নামের মতোই উৎসবের ধরনে থাকে পার্থক্য।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement