২৪ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ছাড়া কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে

Advertisement

হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার প্রয়াত হাবীবুর রহমান কীভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য ছাড়া আর কোনো তথ্য প্রমাণ এখনও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনাস্থলের পাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। দূরে একটি ক্যামেরা ছিল সেটির ফুটেজ কুয়াশার কারণে ঝাপসা দেখা গেছে। সাংবাদিক হাবীবুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন তার চাচা তারু মিয়া। এতে মৃত্যুর কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  ১৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার মধ্যরাতে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যায় র‍্যাব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। মৃত্যুর কারণ জানতে তারা আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে কেউই দুর্ঘটনার বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তবে তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা রাসেল নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী দুর্ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কাছে তথ্য দিয়েছেন।

রাসেল পুলিশকে জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে তিনি হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি প্রান্তে মসজিদের পাশে ছিলেন। আচমকা একটি শব্দ শুনতে পেয়ে সামনে গিয়ে দেখেন একটি মোটরসাইকেল ও ফুটপাতের সামনে একজন লোক পড়ে আছে। তার হেলমেটের সামনের দিকের গ্লাসটি ভাঙা এবং শরীর অক্ষত ছিল। তবে মুখ রক্তাক্ত ছিল। মুখ ও নাক ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। রাসেল চিৎকার চেঁচামেচি করে আশপাশের লোকজনকে ডাকতে থাকেন। দ্রুতই তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেন। পরে পুলিশের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবীবুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর হাবীব মারা যান। হাবীবের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। 

১৯ জানুয়ারি, বুধবার দিনভর তদন্তের পর বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসার কথা ছিল রাসেলের। কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ। ফোনে তাকে পাচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ বলছে,  মামলার তদন্তে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে একটি ক্যামেরা পাওয়া গেছে। তবে সেটির ফুটেজ ঝাপসা। কর্তৃপক্ষ বলছে, কুয়াশার কারণে সেই ক্যামেরার ফুটেজ ঝাপসা এসেছে। হাবীবুর যেখানে ছিটকে পড়েন সেখানে ফুটপাতের মেরামত কাজ চলছিল, সেখানে স্ল্যাব রাখা ছিল। সেই স্ল্যাবে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছি। আশপাশের ভবন এবং সড়ক থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। একটা সিসিটিভি পেলেও সেটার ফুটেজে স্পষ্ট কিছু পাইনি।

হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ খলিফা বলেন, হাবীবুরের মরদেহের মুখ থেঁতলানো, চোয়াল বিচ্ছিন্ন, গাল এক ইঞ্চি কেটে ঝুলে গেছে। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে আমরা অধিকতর তদন্ত করছি। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা এখনো সিসিটিভির কোনো ফুটেজ পাইনি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement