২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

বাংলাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

Advertisement

উপমহাদেশ কাঁপানো কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা জন্মদিন আজ। ১৯৫২ সালের (১৭ নভেম্বর) রুনা লায়লা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী। তার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সেই সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। তারা দুই বোন এক ভাই। বোন দীনা লায়লা এবং ভাই সৈয়দ আলী মুরাদ। অভিনেতা আলমগীর তার স্বামী। তার একমাত্র কন্যা তানি লায়লা। উচ্চাঙ্গ সংগীতে দীক্ষা নিয়েছেন ওস্তাদ হাবিব উদ্দিন খান ও আবদুল কাদের পিয়ারাংয়ের কাছে। গজলে দীক্ষা নিয়েছেন পন্ডিত গোলাম কাদিরের (মেহেদি হাসানের ভাই) কাছে।

বাংলাদেশের সংগীতের কিংবদন্তি এই শিল্পী চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক গানের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের বাইরে গজলশিল্পী হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তার বেশ সুনাম রয়েছে। পাঁচ দশকের দীর্ঘ সংগীতজীবনে ১৭ ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন রুনা লায়লা। অর্জন করেছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা।

বাংলা ছাড়া রুনা লায়লা উর্দু, হিন্দি আর ইংরেজি ভাষা জানেন। তবে বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, পশতু, বেলুচি, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালিয়ান, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজি ভাষায় গান করেছেন তিনি। সুরকার নিসার বাজমির ১০টি করে তিন দিনে মোট ৩০টি গান রেকর্ডের পর রুনা লায়লা নাম লেখান গিনেস বুকে। ১৮টি ভাষায় গান গাওয়া, নিজের সংগীতজীবন নিয়ে নির্মিত ‘শিল্পী’ ছবিতে অভিনয় করা সব মিলিয়ে রুনা লায়লা উপমহাদেশের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। বাংলা গানের অমূল্য রত্ন রুনা লায়লার কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই’, ‘সাধের লাউ বানাইলো’, ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি’, বন্ধু তিন দিন তোর’, ‘জীবনো আঁধারে পেয়েছি’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট’ এবং ‘বাড়ির মানুষ কয় আমায়’ ইত্যাদি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement