চুয়াডাঙ্গা সদরে বাড়ি থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর রক্তাক্ত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার নতুন যাদবপুর গ্রামের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের পরিদর্শক নিখিল অধিকারী।
নিহতের স্বজনরা জানান, ২০ বছর আগে বিয়ে হয় ওই নারীর। তাদের বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট ছেলের বয়স আট বছর। কাজের জন্য তার স্বামী ১৮ বছর আগে কুয়েতে যান। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন তিনি। ওই বাড়ির আশপাশেই থাকেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরেই এলাকার মামুন মণ্ডল নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই নারীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা শ্বশুরবাড়ির লোকজন গিয়ে ঘরে মরদেহ দেখেন। ওই নারী বিবস্ত্র অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে ছিলেন। তার গলার ওপরেই ছিল ছুরি।
তবে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি সত্য নয় জানিয়ে নিহতের ভাই আব্দুর রব বলেন, মামুন ফোনে বিরক্ত করত। বেশ কয়েক দিন আগেও ফোন দিয়ে হুমকি দেয় সে।
সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের পরিদর্শক নিখিল অধিকারী জানান, একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। ওই বাড়ির দরজা বন্ধই ছিল। দুর্বৃত্তরা ছাদ দিয়ে কোনোভাবে ঘরে ঢুকেছে বলে মনে হচ্ছে। ওই নারীর ছেলে প্রায়ই পাশে থাকা ফুপুর বাড়িতে রাতে ঘুমাত। ওই নারী যে বাড়িতে একা ছিলেন তা আগেই জানত হত্যাকারীরা। নিখিল বলেন, হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুন মণ্ডল, হাসান আলী ও আব্দুর রহমান নামের যুবকদের আটক করা হয়েছে।