১৯ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে  ১৩৮ রানের  চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের  

Advertisement

শুরুর সাবধানী ব্যাটিংয়ে মনে হয়েছিল উইকেট বাঁচিয়ে ২০ ওভার খেলাই যেন পাকিস্তানের টার্গেট।  যে কারণে পাওয়ার প্লে’তে আসে মাত্র ৩৯ রান! প্রথম তিন ওভারে ১৬ রান নিতে পারেন দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।

এমন ধীরগতির ব্যাটিংয়ে কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পায়নি পাকিস্তান।

আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান জমা করতে পেরেছে বাবর আজমের দল।

এ সংগ্রহটাও দাঁড় করানো যেত না যদি শান মাসুদ ও মোহাম্মদ শাদাব কিছুটা মারমুখী হয়ে না খেলতেন।

১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে গিয়ে দলীয় সংগ্রহ ১০০ রানে পৌঁছায় পাকিস্তান। 

শেষ পাঁচ ওভারেও টি-২০ মেজাজে খেলতে পারেনি পাকিস্তান।  শেষ ৫ ওভারে এসেছে মাত্র ৩১ রান!

১৬তম ওভারে এসেছে ১৩ রান, ১৭তম ওভারে মাত্র ৩! পরের তিন ওভারে আসে মাত্র যথাক্রমে ৫, ৪ ৬! 

ম্যাচের শুরুর দিকে জীবন পান রিজওয়ান।  রানআউট হতে বাঁচেন তিনি।  চতুর্থ ওভারে মিড-অফ থেকে সরাসরি থ্রোয়ে যদি নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে লাগাতে পারতেন ক্রিস জর্ডান, তাহলে রান আউট হয়ে ফিরতে হতো মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।

জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি রিজওয়ান।  পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে করা স্যাম ক্যারনের দ্বিতীয় বলে ব্যাট চালিয়ে দেন রিজওয়ান। কিন্তু ঠিক মতো খেলতে পারেননি। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে ছোবল দেয় লেগ স্টাম্পে।

এক ছক্কায় ১৪ বলে ১৫ রান করে ফেরেন রিজওয়ান।  

এরপর আক্রমণে এসেই দলকে উইকেট এনে দিলেন আদিল রশিদ। এই লেগ স্পিনারকে ছক্কার চেষ্টায় বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন মোহাম্মদ হারিস।

অষ্টম ওভারে রশিদের হাতে বল তুলে দেন জস বাটলার। অধিনায়ককে নিরাশ করেননি তিনি। তার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারেন হারিস। কিন্তু টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। লং-অনে সহজ ক্যাচ নেন বেন স্টোকস।

১ চারে ১২ বলে ৮ রান করলেন হারিস।

দেখেশুনে খেলে পাকিস্তানকে টানছিলেন বাবর আজম। কিন্তু বেশিক্ষণ টানতে পারেননি তিনি।  

প্রথম ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান হয় ২ উইকেটে ৬৮।

দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলটি গুগলি করেন রশিদ। বল বুঝতে না পেরে কী শট খেলবেন যেন দ্বিধায় ছিলেন বাবর। শেষ পর্যন্ত জায়গা বানিয়ে খেলতে চান তিনি লেগে। কিন্তু টার্নের জন্য ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে বোলার দিকে আসে। সামনে ঝাপিয়ে পড়ে বল মুঠোয় জমান রশিদ।

২ চারে ২৮ বলে ৩২ রান করে ফিরলেন বাবর। ওই ওভারের বাকি পাঁচ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি ইফতিখার আহমেদ।

স্টোকসের বাড়তি লাফানো দল ডিফেন্স করার চেষ্টায় করেন ইফতিখার। কিন্তু বাউন্সের কারণে পারেননি। তার গ্লাভসে হালকা ছুঁয়ে বল যায় কিপার জস বাটলারের গ্লাভসে।

এরপর শাদাব খানকে নিয়ে দলকে টানছিলেন শান মাসুদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলেন না তিনি। তাকে ফিরিয়ে দেন দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে আসা স্যাম কারান।

কারানের লেংথ বল লেগ সাইডে উড়িয়ে মারেন মাসুদ। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক লাগাতে পারেননি। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন লিয়াম লিভিংস্টোন।

২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮ রান করেন মাসুদ। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি।

১৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১২২। ক্রিজে শাদাবের সঙ্গী হন মোহাম্মদ নাওয়াজ।

শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন শাদাব খান। কিন্তু পারেননি। 

১৮তম ওভারে ক্রিস জর্ডানের দ্বিতীয় বল পুল করতে চেয়েছিলেন শাদাব। কিন্তু বল উঠে যায় হাওয়ায়। মিড-অফে সহজ ক্যাচ নেন ক্রিস ওকস।

২ চারে ১৪ বলে ২০ রান করে ফেরেন শাদাব।

১৮ ওভারে পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১২৭।  ১৯তম ওভারটি দুর্দান্ত করেছেন স্যাম কুরান।  সে ওভারে আসে মাত্র ৪ রান!  

শেষ ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে আউট হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।  মাত্র ৪ রান আসে তার ব্যাট ছুঁয়ে।  শেষ ওভারে আসে মাত্র ৭ রান।

ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন দুই ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদ ও স্যাম ক্যারেন।  ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন স্যাম ক্যারেন।  ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন আদিল রশিদ। একটি মেডেন রয়েছে তার।

৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেছেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন পেসার ক্রিস ওকস। 

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement