২০ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের কৃষকরা

Advertisement

শস্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জে বোরো রোপণের মৌসুম শুরু হয়েছে। এজন্য কাঙ্ক্ষিত ফলনের আশায় বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। 

জমি প্রস্তুতকরণ, চারা উঠানো, চারা রোপণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষি সংশ্লিষ্টদের। আবহাওয়া ভাল থাকলে বিঘা প্রতি ২০-২৫ মণ ধান ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। 

তবে সার, তেল, বিদ্যুৎ, হালচাষ ও শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় লাভ কম হবে বলেও শঙ্কা করছেন তারা।

সদর উপজেলার খোলাবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম ও সাইফুল জানান, ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। হালচাষ ও পানি দিয়ে মাটি নরম করা হচ্ছে। এরপর চারা রোপণ করা হবে। তবে বিদ্যুৎ, তেল, সারের দাম ঊর্ধ্বগতি এবং  হালচাষ ও শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছি। জমি পতিত থাকবে তাই বাধ্য হয়ে ধান রোপণ করছি।

সরাতৈল গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই ও আল-আমিন জানান, সরকার যদি সার, বিদ্যুত তেলসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমাতো তাহলে আমরা একটু আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারতাম।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর জানান, চলতি বছরে সিরাজগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ধানের ন্যায্যমূল্য পেতে হলে কৃষককে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। এ জন্য উন্নত জাতের চারা রোপণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে ধান রোপণ ও কর্তন করতে হবে। তাহলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে এবং কৃষকরা ধান উৎপাদন করে লাভবান হতে পারবেন। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকের নানা পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement