আমেরিকার ২০০০ যুগলকে নিয়ে হওয়া এক সমীক্ষার শেষে দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই তাঁদের বিছানা আলাদা করার বিষয়ে একমত।
২৮ শতাংশ মানুষ অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সঙ্গীরা ঘুমিয়ে পড়লে জোরে জোরে নাক ডাকেন। ৩৫ শতাংশ মানুষ তাঁদের সঙ্গীর গা থেকে চাদর টেনে সরিয়ে দেন। আবার ২৭ শতাংশই ঘরের আলো জ্বেলে রাখেন কিংবা অন্ধকারে ফোন ব্যবহার করেন বা টিভি দেখেন। পর্যাপ্ত ঘুম এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য নাকি যুগলের বিছানা আলাদা হওয়াই ভাল। এজন্যই কারো ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য তাঁদের বিছানা আলাদা করার কথা ভাবতে হয়েছে। অন্তত সাম্প্রতিক গবেষণা্য তাই দেখা যাচ্ছে।
পাশাপাশি অন্য একটি সমীক্ষা বলছে, আরো বেশ কিছু কারণে যুগলরা আলাদা বিছানার ব্যবস্থা করেন। যেমন আলাদা ঘর থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো দম্পতির সন্তান তাদের বিছানায় মাঝে শুতে চলে আসে। আবার অনেকের দেখা যায় শুচিবায়ু আছে, সঙ্গী গোসল না করলে তাদের সাথে ঘুমাতে পারেন না। অনেকের অল্পতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়, অন্যদিকে তার সঙ্গীর ঘুমের মধ্যে নড়াচরার অভ্যাস। অনেকে অন্য কারও সঙ্গে নিজের ঘর ভাগ করে নিতে চান না। গরম পড়লেও নিজের গায়ের চাদর বা কম্বল ছাড়া ঘুম আসে না এমন মানুষও আছেন। আবার বিছানার নির্দিষ্ট এক পাশে ছাড়া ঘুমোতে পারেন না এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিছানা আলাদা করার কথা ভাবলেও তারা যে একে অপরের সঙ্গ পছন্দ করেন না এমনটাও নয়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আমেরিকার প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দু’জন যুগল কিন্তু ঘুমোনোর আগে তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন, কেউ আবার একসঙ্গে সিনেমা দেখেন, তারপর আলাদা আলাদা বিছানায় ঘুমাতে চলে যান।