২০ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে শেষ হলো রংপুরের ইজতেমা

Advertisement

মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো রংপুর আঞ্চলিক ইজতেমা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে  চোখের জলে নিজেদের পাপ মুক্তিসহ বিশ্ব মুসলিমের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন প্রায় সোয়া লাখ মুসল্লি। শনিবার দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত, শেষ হয় ১২টা ১৭ মিনিটে।

মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল আহলে শুরার সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন। এর আগে ফজরের নামাজের পর আম বয়ান শুরু হয়। পরে হেদায়েতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত হয়। এ বছর রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাশে ঘাঘট নদীর কোল ঘেষে রহমতের চরে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল।

এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগের দিন রাত থেকেই রংপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। এছাড়াও শনিবার ভোর থেকে রংপুরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসেন। পিকআপ ভ্যান, থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, কার-মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে যে যেভাবে পারেন শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে ছোটেন ইজতেমাস্থলের দিকে। বেলা ১১টার মধ্যে ঘাঘট নদীর তীরে লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটে। ইজতেমা মাঠের মূল মঞ্চ থেকে আশপাশের সব জায়গা মুসল্লিদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

রংপুর নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার আট উপজেলার তাবলিগ জামাতের অনুসারীসহ বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে অংশ নেন। মোনাজাতের সময় অনেককে মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবনের ছাদে অবস্থান করতে দেখা গেছে। আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়া নিরাপদ করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, বিশ্ব ইজতেমার ওপর চাপ কমাতে জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমা হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুরে ৬ষ্ঠ বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো এ ইজতেমা। গত বৃহস্পতিবার বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার কার্যক্রম।

তিনি আরও জানান, ইজতেমায় বয়ান করতে সৌদি আরব, আফ্রিকা, নাইজেরিয়া ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলিগের মুরব্বিরা আসেন। এবার রংপুর ইজতেমা থেকে ইসলাম, ঈমান, আমলের শিক্ষা ও আল্লাহর দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রায় শতাধিক জামাত বের হবে। এসব জামাতের সাথীরা এক চিল্লা (৪০ দিন) এবং তিন চিল্লা (১২০) পূর্ণ করার নিয়ত করেছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement