জার্মানি তথা ইউরোপে রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল জার্মানি সফর করেছেন।
প্রতিনিধি দল ২ জুন জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অফ ইকনোমিক কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড) এর পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি (ডেপুটি মিনিস্টার) ডক্টর বারবেল কোফলারের সাথে দেখা করেন। এর আগে একইদিন সকালে জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ইকোনমিক এফেয়ার্স এন্ড ক্লাইমেট একশন এর ডিজি ডোমিনিক স্নিসেলস্ এর সাথে সভা করেন। এসব মিটিং এ জার্মানির নতুন সাপ্লাই চেইন আইন ২০২১ মেনে কিভাবে বাংলাদেশ, জার্মানি তথা গোটা ইউরোপে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও প্রতিনিধি দল জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড এর সাথে হোটেল ক্রাউন প্লাজায় এক আলোচনা সভায় মিলিত হন।
প্রতিনিধি দল সফরের দ্বিতীয় দিনে জার্মানির হামবুর্গে এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত টেক্সটাইল রাউন্ডটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যিক কার্যালয় যৌথভাবে এই রাউন্ড টেবিল বৈঠক আয়োজন করে। এই রাউন্ড টেবিল বৈঠকটি জার্মানির বিখ্যাত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ভুনসে গ্রুপ এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতিনিধিদল বিখ্যাত জার্মান কোম্পানি মিলেস জিএমবিএইচ পরিদর্শন করেন।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি বিজিএমইএ এর উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধি দলের সাথে বিভিন্ন মিটিং এ অংশগ্রহণ করেন। বিজিএমইএ এর এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ফারুখ হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলী, ডাইরেক্টর আমরিত খান, নিলা হোসনা আরা, ইমরানুর রহমান এবং শামস মাহমুদ। জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোঃ সাইফুল ইসলাম বিজিএমইএ এর উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধি দলের এই সফরের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং সমন্বয় করেন।
বিজিএমইএ এর প্রেসিডেন্ট সকল মিটিং এ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের কাছে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টস। বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। পৃথিবীর সব ব্র্যান্ডের পোশাক বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি গুলোতে উৎপাদন হচ্ছে যা আন্তর্জাতিক মানের। সকল কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট রয়েছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের। তিনি জানিয়েছেন, সারাবিশ্বে দশটি গ্রীন গার্মেন্টস রয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশেই ৯ টি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নত হবে। এরপর তিন বছর ইইউ থেকে শুল্ক-মুক্ত সুবিধা পাবে। তিনি এই সুবিধা আরো ১০-১২ বছর অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন।