১৮ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

রাজশাহীবাসীর দুঃখ ঘুচল এক যুগ পর

Advertisement

শেষ পর্যন্ত দুঃখ মোচন হয়েছে রাজশাহী নগরীর ভদ্রা মোড় থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল সড়কে চলাচলকারীদের। ৪ দশমিক ১৭ কিলোমিটার সড়কটি চার লেন হচ্ছে। এখন চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ।

২০০৯ সালের জুনে ভদ্রা মোড় রেলক্রসিং হতে পারিজাত লেক হয়ে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। ওই সময় দুই লেনের সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি টাকা।

মূলত নগরীর ভেতরে যানবাহনের চাপ কমাতে এই সড়ক নির্মাণ হয়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় কয়েক বছরের মাথায় সড়কটি খানাখন্দে ভরে যায়। এক পর্যায়ে সেটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তা সত্ত্বেও ওই সড়ক দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিল উত্তরাঞ্চলগামী বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাস।

২০২০ সালের (২১ ডিসেম্বর) রাস্তাটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাসিকের কাছে হস্তান্তর করে আরডিএ। এরপরই শুরু হয় আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের কাজ। গত বছরের ৬ নভেম্বর সড়কটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ দশমিক ১৭ কিলোমিটার অযান্ত্রিক যানবাহন লেনসহ চার লেন সড়কের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
চার লেনের সড়ক ছাড়াও দুই লেনের অযান্ত্রিক যানবাহন লেন, সড়ক বিভাজক ও দুই পাশে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন করা হবে। সড়কটি নির্মাণের ফলে এই এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

প্রসঙ্গত, নগরীর নওদাপাড়ায় ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল। নগরীর যানজট নিরসন ও যাত্রীসেবা বৃদ্ধিতে ৭ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এ টার্মিনাল গড়ে তোলে আরডিএ। ৭ দশমিক ৪১ একর জায়গায় গড়ে ওঠা টার্মিনালে এক সঙ্গে প্রায় ৫০০টি বাস দাঁড়াতে পারবে।

নগরী থেকে চার কিলোমিটার দূরের এ টার্মিনালটি এখন গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নগরীর শিরোইলে পুরোনো টার্মিনালসহ আশপাশের রাস্তায় থাকছে বাস। গত (১ নভেম্বর) থেকে কেন্দ্রীয় টার্মিনাল থেকে নগরীর সকল যাত্রীবাহী বাস ছাড়ার কথা ছিল। সিটি কর্পোরেশন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক এবং নগর পুলিশকে নিয়ে বৈঠক করে এই ঘোষণা দেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। কিন্তু বাস চলছে আগের মতোই। ফলে নগরজুড়ে দুর্ভোগ রয়েই গেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement