২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে শঙ্কা তৈরি হয়েছে পোশাক রপ্তানি নিয়ে

Advertisement

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে পোশাক রপ্তানির গতি কমেছে। ফলে অন্তত এক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে অর্ডার খুব বেশি নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মালিকরা।

যত বেশি সময় ধরে এ যুদ্ধ চলমান থাকবে ততই পোশাক রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা দেখা দেবে। পাশাপাশি সুতাসহ কাঁচামাল এবং জাহাজসহ পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়বে, তাতে পোশাক খাতই বেশি শঙ্কায় পড়বে বলে মনে করছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

যার কারণে এরই মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাস, গম, ভুট্টা, সরিষা, মসুর ডালের দাম বেড়েছে। কারণ এসব পণ্য ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। যুদ্ধের অজুহাতে দেশীয় ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়েছে। ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য তুলাসহ বেশ কিছু কাঁচামাল আমদানি করা হয় দেশ দুটি থেকে। ফলে যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন।

জানতে চাইলে তরুণ উদ্যোক্তা ও বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্বের যখনই এ ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করে, তার প্রভাব এমনিতেই পড়ে। তার ওপর একটি দেশ হলো রাশিয়া, আরেকটি হলো ইউরোপের পাশের দেশ ইউক্রেন। পাওয়ার ফুল দুটি দেশ তাতে আশপাশে তো প্রভাব পড়বে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সময় যতই যাবে প্রভাবের গভীরতা ততই বাড়বে।

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে এরই মধ্যে লোকাল মার্কেটে জিনিসের দাম বাড়া শুরু হয়েছে। পোশাক খাতে তার প্রভাব পড়বে। রাশিয়াতে বর্তমানে আমাদের সরাসরি সাড়ে ৬শ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। এখানে বাজার বাড়ানোর বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের এখন উত্তম সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি বাড়ানোর।

তার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন সিনিয়র উদ্যোক্তা ও বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুলাহ আজিম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অন্তত এক বিলিয়ন ডলারের পোশাক নিয়ে শঙ্কায় আছি আমরা। যুদ্ধ যেভাবে শুরু হয়েছে। এটা প্রলম্বিত হবে মনে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য ভালো লক্ষণ না, কারণ যুদ্ধ যত দিন ধরে চলবে রাশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকার বাজারেও প্রভাব পড়বে। কারণ পোশাকসহ সব ধরনের পণ্যের কাঁচামালের দাম বাড়বে। জাহাজের ভাড়া বাড়বে। জাহাজ আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। অর্ডার বাতিল হবে। ফলে সবকিছু মিলে বড় ধরনের শঙ্কা রয়েছে।

তিনি বলেন, রাশিয়াতে আমরা সরাসরি সাড়ে ৬শ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করি। আর ৩ থেকে সাড়ে ৩ মার্কিন ডলার রপ্তানি করি ইউরোপের মাধ্যমে বাজারটিতে, যা এখন শঙ্কায় রয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বাজার সৃষ্টির হওয়ার কথা ছিল। তাও করার সুযোগ হারাচ্ছি আমরা।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement