২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

রোগীর স্বজনদের মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ স্টাফদের বিরুদ্ধে

Advertisement

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে আজ ২৩ এপ্রিল বিকালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ নবজাতককে দেখতে চাওয়ায় ওই নবজাতকের মামা ও খালুকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও হাসপাতালের স্টাফদের বিরুদ্ধে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রকল্পে কর্মরত মেহেদী হাসান, আনসার সদস্য অভিষেক মজুমদার, কালাম মুন্সীসহ ৬-৭ জন মিলে এ হামলা চালান। যদিও তারা দাবি করছেন- মারধর নয়, উল্টো রোগীর স্বজনরা তাদের মারধর করেছেন বিধায় তাদের আটকে রাখা হয়।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা দুজনে কথা বলছিলেন। এর মধ্যে হাসপাতালের স্টাফ ও আনসার সদস্যরা মিলে দুইজনকে মারধর করে আটকে রাখে।

হামলার শিকার রোগীর স্বজন আশরাফুল হক মুন্না বলেন, আমার ভায়রার নবজাতকের নাভিতে সমস্যা হওয়ায় স্বরূপকাঠি থেকে বরিশালে রেফার্ড করা হয়। দুপুর ৩টার দিকে তারা শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করান। আমি ও আমার শ্যালক রাসেল সাড়ে ৪টার দিকে নবজাতক ওয়ার্ডের সামনে এসে দাঁড়াই। আমি ওয়ার্ডের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোককে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করে বাইরে বের করে দেন। সেই গার্ড আমার কোনো কথা না শুনে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করেন। আমরা কোনো দোষ করিনি তারপরও মাফ চেয়েছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা? মারধর করল।

মারধরের শিকার রাসেল হাওলাদার বলেন, আমার ভাগনি অসুস্থ হয়ে ভর্তি। আমার দুলাভাই তাকে দেখতে ভেতরে যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইলে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাসপাতালের স্টাফ মেহেদী ও কয়েকজন আনসার সদস্য মারধর শুরু করেন। আমি মারধর ঠেকাতে গেলে স্টাফ মেহেদী ও আনসার সদস্যরা আমাকেও মারধর করে আটকে রাখে। শুধু মারধর না, হামলাকারীরা বলেছেন- আমাদের রোগীকে চিকিৎসা দেবেন না। আমরা আতঙ্কে আছি এ ঘটনায়। তারা ভর্তির কাগজ নিয়ে আটকে রেখেছেন।

ইউনিসেফ প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালে কর্মরত অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বলেন, নবজাতক ওয়ার্ডের গেটের কাছে দায়িত্ব পালন করছিলাম। তখন এসে দুইজনে আমাকে ও ওয়ার্ডের ক্লিনারের ওপর হামলা চালায়। তারা হাসপাতালের স্টাফের গায়ে হাত তোলায় তাদের আটকে রাখা হয়েছে।

অভিযুক্ত আনসার সদস্য অভিষেক মুজমদার বলেন, হাসপাতালের স্টাফরা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের ওপর হামলা হয়েছে বিধায় রাসেল ও মুন্না নামে দুজনকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারা এখান থেকে তাদের রোগী নিয়ে যাবেন, অন্যথায় তাদের রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে না।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহীন জানিয়েছেন, ঘটনাটি পুরোপুরি জানেন না তিনি। খবর নিয়ে দেখছেন। হাসপাতালের কারো দোষ থাকলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement