২৩ এপ্রিল, ২০২৪, মঙ্গলবার

রোজায় খাবারের বাড়তি দামে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা

Advertisement

কাল শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এ সময় খাবারের দাম বেড়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলের ক্যান্টিনগুলোতে। এবারও দাম বাড়ছে। এ নিয়ে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তায় আছেন শিক্ষার্থীরা।

করোনা মহামারির পর থেকেই  হলগুলোতে খাবারের মূল্যবৃদ্ধি ও মান কমা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। খাবারের মান না বাড়লেও দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বেড়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তবে রমজান মাসে এ দাম আরো বাড়ানো হয়। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত বছর সাহরিতে খাবারের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। খাবার সামান্য একটু বেশি দিলেও মান ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতোই। এসব খাবার খেয়ে সারা দিন রোজা রাখা খুব কষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেক শিক্ষার্থীর জন্য অতিরিক্ত দামে খাওয়াও অনেক কষ্টসাধ্য বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

মাস্টারদা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থী এ আর যুবরাজ বলেন, ‘রমজান মাসে বাড়তি দামে খাবার কিনতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার মতো শিক্ষার্থীদের হিমশিম খেতে হয়। বাজারের বর্তমান মূল্যের যুক্তি দিয়ে দাম বাড়ায় বলে এখানে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন পরিচালক ও ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা বাজারমূল্যের ওপর নির্ভর করে দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। স্বাভাবিকের চেয়ে খাবারের আইটেমভেদে ১৫, ২০, ৩০ টাকাও বাড়তে পারে। খাবারের মান ভালো ও পরিমাণ বেশি দিতে দাম বাড়ানো হবে বলেও জানান তাঁরা। তবে শিক্ষার্থীরা দাম বাড়ানোকে একেবারেই অযৌক্তিক বলছেন। 

স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘দামের সঙ্গে পরিমাণ হালকা বাড়ালেও মান বাড়ে না। দামের সঙ্গে পরিমাণের পার্থক্য খুবই সীমিত। অনেকেরই এত টাকায় খাবার খেতে সমস্যা হয়। কারণ যেগুলোর দাম স্বাভাবিক সময়ে ৪০ টাকা থাকে, তা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়ে যায়। আবার ৫০ টাকার খাবার ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়ে যায়।’

রোজার সময় ক্যান্টিনগুলো তিন বেলা খাবার বিক্রি করতে পারে না বলে তা সাহরির সময় পুষিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুসতফা আকিল বলেন, ‘ক্যান্টিনগুলো এমনিতেই অখাদ্য-কুখাদ্যের জন্য অসহনীয়, তার ওপর রমজান এলে ক্যান্টিনগুলো শুরু করে অমানবিক অত্যাচার। সাহরিতে দাম এমনভাবে বাড়ায়, যেন এক বেলায়ই বাকি দুই বেলার টাকা তুলে নিতে পারে।’

তবে ক্যান্টিন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারের পরিস্থিতির কারণেই খাবারের দাম বাড়ানো হয়ে থাকে। অল্প পরিমাণ দামই তাঁরা বাড়াবেন।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রধান ক্যান্টিন পরিচালক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অল্প কিছু বাড়ানো হবে। ছেলেরা ভালো করে খাবে। ভালো করে রান্না করা হবে, বেশি করে দেওয়া হবে।’

স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে এর মধ্যেই রমজানের সময় সাহরির খাবারের দাম টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও দাম স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ানোর বিষয়ে ক্যান্টিন পরিচালক বাবুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেই দাম বাড়ানো হয়েছে।’

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক আলমগীর বলেন, ‘বাজারের দামের সঙ্গে মিল রেখেই দাম বাড়ানো হবে। শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি টাকা আদায় করা হবে না।’

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement