২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

বাংলা সাহিত্যের মুকুটে নতুন পালক আনলেন শীর্ষেন্দু

Advertisement

বাংলা সাহিত্যের মুকুটে নতুন পালক জুড়ল জনপ্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সৌজন্যে। ভারতের সাহিত্য অ্যাকাডেমির ‘ফেলো’ নির্বাচিত হয়েছেন ‘মানবজমিন’-এর স্রষ্টা। ‘অমর সাহিত্যের স্রষ্টাদের’ এই অনন্য সম্মানে ভূষিত করে থাকে সাহিত্য অ্যাকাডেমি।

একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, চলতি বছর শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আরও সাতজন ভারতীয় লেখককে এই সম্মান জানিয়েছে সাহিত্য অ্যাকাডেমি। বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার সাহিত্যিক রয়েছেন সেই তালিকায়। রয়েছেন ইংরেজি ভাষার সাহিত্যিক রাসকিন বন্ড, মরাঠি কবি-প্রাবন্ধিক বালচন্দ্রন নেমাড়েও।

সাহিত্য অ্যাকাডেমির বাংলা উপদেষ্টা পর্ষদের অন্যতম সদস্য ও বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকার ফেসবুকে একটি পোস্টে অভিনন্দন জানিয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে।

তিনি লিখেছেন, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সাহিত্য অ্যাকাডেমির সবচেয়ে বড় সম্মানে ভূষিত হলেন। তিনি অ্যাকাডেমির ‘ফেলো’ নির্বাচিত হয়েছেন। সঙ্গে আরও সাতটি ভাষা থেকে আরও সাতজন ভারত-বিখ্যাত লেখককে সম্মান জানাল সাহিত্য অ্যাকাডেমি। যেমন রাসকিন বন্ড আছেন, তেমনি আছেন বালচন্দ্রন নেমাড়ে। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দুদার হাতে অ্যাকাডেমি এই সম্মান তুলে দেবে। বাংলায় সুভাষ মুখোপাধ্যায় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শঙ্খ ঘোষের পর অনেকদিন বাদে আবার একজন কথাসাহিত্যিক ফেলো নির্বাচিত হলেন। শীর্ষেন্দুদা, আপনার সম্মানে আমরা আজ সম্মানিত।

বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৮৯ সালে তার ‘মানবজমিন’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যাসাগর পুরস্কার (১৯৮৫), আনন্দ পুরস্কার (১৯৭৩ ও ১৯৯০) অন্যতম। ২০১২ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার পান।

১৯৩৫ সালে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শীর্ষেন্দু। ছয়ের দশক থেকেই তরুণ শীর্ষেন্দু তার ছোটগল্পের মাধ্যমে বাঙালি পাঠকের মন জয় করা শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে লেখা ‘ঘূণপোকা’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনি বৃহৎ আখ্যান লেখাও শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে পারাপার ‘যাও পাখি’, ‘মানবজমিন’, ‘পার্থিব’, ‘ফজল আলি আসছে’র মতো উপন্যাস ও অসংখ্য ছোটগল্পে তিনি বাংলা সাহিত্যে পাকা আসন লাভ করেন।

তবে বড়দের সাহিত্যের পাশাপাশি ছোটদের সাহিত্যেও তুমুল জনপ্রিয় শীর্ষেন্দু। ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ থেকে শুরু করে ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’, ‘পাগলা সাহেবের কবর’, ‘পটাশগড়ের জঙ্গলে’, ‘পাতালঘর’-এর মতো উপন্যাসও বাঙালি পাঠকের চিরকালীন সঙ্গী হয়ে থাকবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement