২০ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

সম্রাটের জামিন বাতিল করতে হাইকোর্টে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন

Advertisement

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন প্রস্তুত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

(২৭ আগস্ট) শনিবার দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন প্রস্তুত করেছি। (২৮ আগস্ট) রোববার হাইকোর্টে এই আবেদন দাখিল করা হবে।

এর আগে গত ২২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিনের আদেশ দেন।

সে সময় সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ বলেন, সম্রাট গুরুতর অসুস্থ। এর সপক্ষে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।

জামিনের ক্ষেত্রে সম্রাটকে আদালত কিছু শর্ত দিয়েছেন জানিয়ে আফরোজা শাহনাজ বলেন, সম্রাটকে তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আর আদালতের অনুমতি না নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

অন্যদিকে জামিনে কারামুক্ত হয়ে (২৬ আগস্ট) শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল ছাড়েন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা. মো. রসুল আমিন (শিপন) বলেন, গতকালই তাকে আমরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছি। তবে, তিনি আজ দুপুরের দিকে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

গত ২৪ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্রাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ১৮ মে এই মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে সম্রাটকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তখন র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement