২৮ মার্চ, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সরকার নির্ধারিত মূল্যে বাজারে মিলছে না চিনি

Advertisement

সরকার নির্ধারিত মূল্যে বাজারে মিলছে না চিনি। মিলগেটেই অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ অধিকাংশ পাইকারি ব্যবসায়ীর। তবুও মিলছে না চাহিদা মাফিক। 

তিন দশক ধরে পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ভোজ্যতেলের ব্যবসা করছেন হারুন মিয়া। তেলের সরবরাহ ঠিক থাকলেও, বাজারে আচরণটা তার কাছে একটু অপরিচিতই লাগছে। সাথে শর্তের বেড়াজাল তো আছেই। তিনি বলেন, যে মালগুলো বাজারে চলে না সেগুলো নিতে আমাদের বাধ্য করে মিল মালিকরা।

পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির তথ্য বলছে, দেশে প্রতিমাসে সয়াবিন তেলের চাহিদা দেড় লাখ টন। আর বছরে ১৮ লাখ। রমজানে এই চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় তিন লাখ টনে। যার পুরোটাই বলতে গেলে আমদানি নির্ভর। 

বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, বাজারে সরবরাহ ঠিক থাকলে মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। 

চিনি নিয়ে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে কয়েকমাস ধরে। গত তিনমাসে চাহিদার অর্ধেকে নেমেছে সরবরাহ। মিলগেট থেকেই অতিরিক্ত দামে পণ্য কেনার অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা এখন মিলের থেকে মাল পাচ্ছি না। যারা স্টক করে রাখছে রমজান উপলক্ষে তারাও এখন দিচ্ছে না। 

ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, মাসে দেশে চিনির চাহিদা ১ লাখ ৫৮ হাজার টন। বছরে ১৯ লাখ। রমজান এলেই চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ টনে। দ্রুত উদ্যোগ না নিলে রমজানে সংকট আরও বাড়ার শঙ্কায় চিনি ব্যবসায়ীরা। 

বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, রমজানে চিনির চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা বাড়লে যদি সরবরাহ আগেই মতই থাকে তবে ঘাটতি বেড়ে যাবে। আর এর ফলে দাম বাড়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়। কিছু পরিশোধিত চিনি যদি রমজানের আগে আমদানি করা যায় তবে এই ঘাটতিটা পূরণ করা সম্ভব। 

তেল, চিনির পাশাপাশি অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সময় মতো এলসি খোলার নিশ্চয়তা চান ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement