২৫ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আতঙ্কের কয়েক হাজার মানুষ

Advertisement

সিলেট শহরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে বেড়েই চলছে পানি। বন্যা পরিস্থিতির হচ্ছে অবনতি। সোমবার বিকেল থেকে হঠাৎ করে সুরমা নদীর পানি বাড়ায় আতঙ্কের মধ্যে রাত পার করেছেন সিলেট নগরীর কয়েক হাজার মানুষ।

বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাফিজ রুমান জানান, রাস্তাঘাটে পানি বাড়ায় গন্তব্যস্থলে যেতে দেরি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে।

উপশহর ডি ব্লকের বাসিন্দা ইমরান আহমদ বলেন, সারা রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। কারণ আমার বাসার সামনে পানি টইটম্বুর করছে। কখন যে বাসায় পানি প্রবেশ করে সেই চিন্তায় আছি। ঘুমাতে যাওয়ার পর যদি ঘরে পানি প্রবেশ করে, তাহলে মূল্যবান আসবাবপত্রসহ অনেক জিনিস নষ্ট হয়ে যাবে।

সিলেট বাইকিং কমিউনিটির সভাপতি শাহিদ জামান বলেন, সিলেট শহরে এত পানি উঠতে দেখিনি কখনো। এ সময় তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন।

জানা গেছে, গত ৫-৬ দিনের অবিরাম বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার বেশ কয়েকটি জায়গা জায়গা পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। অনেক জায়গায় বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। হঠাৎ করেই সুরমার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেট নগরীর বেশ কিছু জায়গায় ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। 

আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে সিলেটের আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণেই মূলত সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পানি বেড়েছে। তাছাড়া উজানের ঢলের কারণে সিলেটের নদনদীর পানি বাড়ছে। তিন দিন আগেও যেখানে পানি নদীর পাড় থেকে কয়েক ফুট নিচে ছিল সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে।

সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, সিলেটের নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এটি দুশ্চিন্তার কারণ। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর সেই পানি উজান বেয়ে বাংলাদেশে আসছে। যদি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টি না কমে, তবে এই পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।টানা বর্ষণ আর ঢলের কারণে সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

১৭ মে মঙ্গলবার সকালে নগরীর শেখঘাট, কলাপাড়া, মোল্লাপাড়া, লামাপাড়া, ঘাসিটুলা,কালীঘাট, ছড়ারপার, লালাদিঘীরপাড়, মাছিমপুর, উপশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট ইতোমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা পানি মাড়িয়ে তাদের গন্তব্যস্থলে ছুটছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement