২৪ এপ্রিল, ২০২৪, বুধবার

সিলেটে বিএনপি নেতা কামাল হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

Advertisement

সিলেট নগরীতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র এএসপি আফসান আল আলম জানান, সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালী বাজারের একটি বাড়ি থেকে বুধবার দুজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা।

এরা হলেন- মামলার চার নম্বার আসামি সিলেট নগরের বাদামবাগিচা এলাকার মিশু (২৬) ও ছয় নম্বার আসামি বড়বাজার এলাকার গোয়াইপাড়ার বাসিন্দা মনা (২৫)।

গত রোববার রাতে সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। তিনি নগরীর সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা এবং সিলেট ল কলেজের সাবেক জিএস ছিলেন।

ঘটনার দুদিন পর মঙ্গলবার রাতে তার ভাই ময়নুল হক বাদী হয়ে দশ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করে নগরীর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজির আজিজুর রহমান সম্রাট (৩৫), একই এলাকার মো. হাফিজ (২৫), নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার শাকিল আহমদ (৩৫), গুয়াইপাড়া এলাকার কুটি (২৪), বিশ্বনাথের আব্দুল আহাদ (৬০), খাদিম দাসপাড়ার মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস (২৮), সিলেট সদর উপজেলার রায়েরগাঁওয়ের আশরাফ সিদ্দিকী (৩৭) ও লালারগাঁওয়ের রুহুল আমিন শাওন (২২)।
মঙ্গলবার রাতে মামলার পর পরই ৫ নম্বর আসামি কুটি মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান।

গ্রেপ্তার ২৪ বছর বয়সী কুটি আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার পাশেই গোয়াইপাড়ার মৃত নূর মিয়ার ছেলে।

ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ জানায়, কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দুটি মোটরসাইকেল। বড়বাজারের ১১৮ নম্বর বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে তাকে গাড়ি থেকে নামায় একদল লোক। পরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

পরে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার এজাহারে নিহতের ভাই মইনুল হক উল্লেখ করেছেন, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে তাদের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের লাহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত (১৯ অক্টোবর) আসামিরা সেখানে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ভাঙচুর চালাতে নিষেধ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে কামালকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর জেরে ধরে (৬ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে কামাল প্রাইভেটকারে বালুচরে যাওয়ার সময় বড়বাজার এলাকায় ৪/৫টি মোটরসাইকেলে করে আসামিরা পিছু নেয়। এ সময় তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়।

কামালের শরীরে ২৫টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামছুল ইসলাম।

কামাল রাজনীতির পাশাপাশি পাথর ব্যবসা এবং নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি তার ট্রাভেল এজেন্সি থেকে আসামি আজিজুর রহমান সম্রাটের আত্মীয়কে সৌদি আরব পাঠানো নিয়ে দুজনের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় সম্রাট (২১ অক্টোবর) কামালসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এর জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement