২৯ মার্চ, ২০২৪, শুক্রবার

৪৫ টাকা পেঁয়াজের কেজি এটা অস্বাভাবিক না: বাণিজ্যমন্ত্রী

Advertisement

কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা আর ভোক্তা পর্যায়ে ৪৫ টাকা নিশ্চিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সংগঠন `বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়াট রিপোর্টার্স ফোরাম’ আয়োজিত সংলাপে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতি কেজি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ১৮ থেকে ২০ টাকা পড়ে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “কৃষকের জন্য কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ২৫ টাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে ৪৫ টাকা হলে সমস্যা হবে না। কৃষক ২৫ টাকার কমে দাম পেলে উৎপাদনে আগ্রহী হবে না।”

ভোক্তা পর্যায়ের দামের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ঢাকার মানুষ ৪৫ কেজি দরে পেঁয়াজ কিনবে- এটা আমিও চাই; এটা অস্বাভাবিক না। যদি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা বা তার বেশি হয় তাহলে মনে করব বাজার….।”

কৃষকদের ‘বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে’ সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিশ্ব বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, এজন্য এখন থেকে মানুষকে সাশ্রয়ী হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বর্জন করতে হবে।

“দেশের কয়টি রাজনৈতিক দল মনে করছে- বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি হবে, কিন্তু তা কখনও হবে না।“

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “তেল-চিনি ডালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ৯০ শতাংশ আমদানি করে চাহিদা পূরণ করতে হয়।

“আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বাড়লে দেশের কিছু করার থাকে না। এ কয়েকটি পণ্য বেসরকারি সেক্টর আমদানি করে চাহিদা পূরণ করছে।”

সরকার একটি অভিন্ন মূল্য পদ্ধতি অনুযায়ী কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। বিশেষ করে আমদানি মূল্য, ট্যাক্স, জাহাজ ভাড়া, লাভ বিবেচনায় নিয়ে দাম নির্ধারণ করে থাকে।

সয়াবিন তেলের বিষয়ে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত ‘ভুল’ ছিল বলে অনুষ্ঠানে স্বীকার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তার কথায়, “রমজানে ভোগ্য পণ্যের দাম যাতে বাড়তে না পারে, সেজন্য ব্যবসায়ীদের উপর বিশ্বাস করা হয়েছিল। কিন্তু রমজান শেষ হওয়ার ১০ দিন আগেই বাজার থেকে সয়াবিন সরিয়ে নেওয়া হয়, রমজান শেষে বৃদ্ধি হওয়া দামের আশায়।

“তাদেরকে বিশ্বাস করা ভুল ছিল আর আমাদের সিদ্ধান্তও ভুল ছিল।”

এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা যদি রমজানের মাঝামাঝি একটা দাম নির্ধারণ করে দিতাম, তাহলে এটা হত না।”

গম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “পাঁচটি বিকল্প উৎস থেকে গম আমদানির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেইন থেকেও আমরা গম আমদানির উদ্যোগ নেব।”

ভারত রপ্তানি বন্ধের পর এখনও সেখান থেকে গম পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, “সেদেশের সরকার বলেছে, তাদের প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি অন্যভাবে নেবে। তাই ভারত থেকেও গম পাওয়ার আশা আছে।”

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement