২৫ এপ্রিল, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

৫০ ফুট খাদের নিচে স্বর্ণে মোড়ানো মমি

Advertisement

মিসরে কফিনের ভেতর স্বর্ণে মোড়ানো একটি মমির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। কফিনটি ৪ হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো।

এই সময়ের মধ্যে একবারও এটি খোলা হয়নি। প্রাচীন এক সমাধিতে খুঁজে পাওয়া কফিনটি বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো খোলা হয়। বিবিসি।

হেকাশেপেস নামে এক ব্যক্তির দেহাবশেষের এ মমিকে এখন পর্যন্ত মিসরে পাওয়া অন্যতম প্রাচীন এবং পূর্ণাঙ্গ অরাজকীয় মৃতদেহ মনে করা হচ্ছে।

কায়রোর দক্ষিণে সাকারা সমাধিক্ষেত্রে ৫০ ফুট খাদের নিচে পাওয়া ৪টি কবরের একটিতে এ স্বর্ণে মোড়ানো মমি মেলে।

অন্য কবরগুলোতে ছিল আরও তিনটি মমি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে মমি পাওয়া গেছে, তা খুনুমদজেদেফ নামের এক পুরোহিতের।

আরেকটি মমি মেরি নামের এক ব্যক্তির। তিনি ছিলেন রাজপ্রাসাদের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তার উপাধি ছিল ‘সিক্রেট কিপার’।

এ উপাধির কারণে তিনি বিশেষ ধর্মীয় আচারগুলো পরিচালনা করতে পারতেন।

ধারণা করা হচ্ছে, অপর কবরটিতে ফেতেক নামের এক বিচারপতি ও লেখককে সমাহিত করা হয়েছিল। ওই কবরে একটি ভাস্কর্যও পাওয়া গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ওই সমাধি এলাকায় পাওয়া সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য এটি। কবরগুলোয় মাটির তৈরি পাত্রসহ আরও বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গেছে।

মিসরের সাবেক পুরাকীর্তিবিষয়ক মন্ত্রী ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস বলেন, যেসব জিনিস পাওয়া গেছে, তা খ্রিষ্টপূর্ব ২৫ শতাব্দী থেকে শুরু করে খ্রিষ্টপূর্ব ২২ শতাব্দী পর্যন্ত পুরোনো।

প্রত্নতাত্ত্বিক আলি আবু দেশিশ বলেন, এ আবিষ্কারের ঘটনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ, এসব জিনিস বিভিন্ন সময়ের রাজা এবং তাদের আশপাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ সম্পর্কে ধারণা দেয়।

সাকারা হলো তিন হাজার বছরের বেশি পুরোনো এক সমাধিস্থল। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের এলাকা হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া এ সমাধিস্থলকে এখনো ব্যবহার করা হয়।

কয়েক বছর ধরে দেশের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মিসর।

এর অংশ হিসাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বড় বড় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে।

চলতি বছর গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম চালু হওয়ার কথা আছে। মিসর সরকারের আশা, এ জাদুঘর ২০২৮ সাল নাগাদ বছরে ৩ কোটি পর্যটক টানবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement