বরগুনার পাথরঘাটার এক সাংস্কৃমতিমনা পরিবারে জন্ম কলি বড়ালের। বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় আছেন। মাত্র তিন বছর বয়সে গানের হাতেখড়ি ও মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে সংস্কৃতি অঙ্গনে তার পদযাত্রা।
বাবার প্রেরণা ও উৎসাহে গান, আবৃত্তি, কবিতার মায়ায় পড়ে ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন কলি। সেই থেকেই এই জগতটাকে ভালোবেসে ফেলেছেন। নিজের টেবিলে বসলে প্রায়শই ভাবনাগুলো টুকে রাখতেন।
এবারের একুশে বইমেলায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জলনীলী’ প্রকাশিত হয়েছে। উৎসব প্রকাশন ব্যানারে বইটি পাওয়া যাচ্ছে ২১২ ও ২১৩ নম্বর স্টলে।
বইটি সম্পর্কে লেখক জানান, ‘জলনীলীর’ প্রতিটি পাতায় মানুষের বৈচিত্র্যময় মন ও জীবনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জীবনের প্রতি মোড়ে মোড়ে ঘটে যাওয়া বাস্তবতাগুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিক শৈবালের মতো ভেসে বেড়ানো মানুষের জীবন।
লেখালেখির জীবন সম্পর্কে কলি বড়াল বলেন, আমি ভালো গল্প বলতাম ছেলেবেলায়। মনের আনন্দ থেকেই এসব কাজ করতাম। লেখক হবো এমনটা কখনো ভাবিনি, বরং গাইতে চেয়েছিলাম। তবে ওই যে দিনশেষে মানুষ ভেতরে ভেতরে যা, তারই প্রকাশ ঘটে। হয়ত কিছুটা আগে অথবা কিছুটা পরে। লেখালেখিকে ভালোবেসে তার সৃষ্টিশীল সুন্দর চিন্তা ভাবনা ছড়িয়ে দিয়ে বেঁচে থাকতে চাই পাঠক হৃদয়ে।
খুব শীঘ্রই প্রথম উপন্যাস পাঠকদের জন্য বাজারে আসবে বলে জানান এই তরুণ লেখক।