তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বাংলাদেশি গোলাম সাইদ রিংকু।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করে তুরস্ক বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, গোলাম সাঈদ রিংকু নামের এক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি যে ভবনটিতে বসবাস করতেন, সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরেও প্রায় ৫০ বাংলাদেশি বসবাস করেন।
তুরস্ক বসবাসরত বাংলাদেশি শিক্ষক শর্মিলি আনোয়ার বলেন, গোলাম সাঈদ রিংকু ও নূরে আলম নামের দুই বাংলাদেশি একই ভবনে এক ঘরে থাকতেন। প্রথমে দুজনই নিখোঁজ ছিলেন। পরে নূরে আলমের খোঁজ পাওয়া যায়। নূরে আলম জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনি বের হয়ে আসতে পারলেও গোলাম সাঈদ রিংকু সেখান থেকে বের হতে পারেননি।
সিরিয়ার যে অঞ্চলটিতে ভূমিকম্প আঘাত করেছে, সে জায়গা একই সঙ্গে সরকার ও বিদ্রোহী দলের দখল রয়েছে। বিদ্রোহী দলগুলো মূলত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে মাদক চোরাচালান, মানব পাচার, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। ফলে এখানে উদ্ধার অভিযান চালানো নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত শাহনাজ গাজী বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চল গাজিয়ান্তেপ, যেখানে ভূমিকম্প সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে, সেখানে থাকা সব বাংলাদেশিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় অবৈধ পথে যাওয়া বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তুরস্ক ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো মানব পাচারকারীরা ইউরোপে পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। ফলে এখানে কোনো বাংলাদেশি রয়েছেন কিনা, তা দূতাবাসের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে এ সীমান্তে বাংলাদেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এ কূটনীতিক।