আজ জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস। ২০১৩ সালের এ দিনে জাতীয় সংসদে পরিসংখ্যান আইন পাস করা হয়। এর ভিত্তিতে পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আসে। ২০২০ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারিকে পরিসংখ্যান দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বিচেনায় ১৯৭৪ সালের ২৬ আগস্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন চারটি পরিসংখ্যান সংস্থাকে এক করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
দেশে তৃতীয়বারের মতো পরিসংখ্যান দিবস পালন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন’। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বিবিএস কর্তৃক তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও প্রকাশনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সরকারের প্রতিশ্রুতিকে ত্বরান্বিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সময়োপযোগী ও সঠিক পরিসংখ্যানের সাহায্যে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
দেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে সঠিক, সময়োপযোগী এবং মানসম্মত পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা বিবিএসের দায়িত্ব। জনশুমারি, কৃষিশুমারি, অর্থনৈতিক শুমারিসহ বিভিন্ন ধরনের সার্ভে পরিচালনা করে থাকে তারা। হালনাগাদ তথ্য প্রস্তুতে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নেতৃত্বে বিবিএস কাজ করছে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে সঠিক তথ্য তুলে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বিবিএস। নিয়মিত নিজেদের সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। এসডিজিসহ সব তথ্যই সঠিক সময়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সঠিক সময়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বিবিএস। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান কোড অনুসরণ করে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।