৭ মে, ২০২৪, মঙ্গলবার

২৬ দিন পর দুঃখ প্রকাশ করলেন শাবি উপাচার্য

Advertisement

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি ও লাঠিপেটার ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার সকাল ১০টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা আহত হয়েছেন, সবার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। উক্ত ঘটনার ধারাবাহিকতায় সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ সরকারের সব স্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ সিলেটের সুশীল সমাজের সবাইকে এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিরসনে মিডিয়া কর্মীদের যারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরকেও জানাচ্ছি ধন্যবাদ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রিয় প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা সম্ভব হবে।’

এর আগে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্য, ডিন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপাচার্যকে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেওয়ার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি একটি ছাত্রী হলের প্রভোস্টকে সরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালালে, পরের দিন হামলার প্রতিবাদ ও একই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এদিন বিকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ওইদিন রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনেও বসেন। ১৬৩ ঘণ্টা অনশনের পর গত ২৬ জানুয়ারি সকালে শাবির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকের ব্যারিকেড তুলে নেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement